
দেশচিন্তা ডেস্ক: জামায়াতসহ কিছু রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি ও গণভোট আয়োজনের দাবি তুলে বা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে জাতীয় নির্বাচন পেছাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে কোরআন অবমাননা ও রাসুল পাক (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী আরও বলেন, কিছু তথাকথিত মানুষ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মহানবী (সা.)–কে অবমাননা করে যাচ্ছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে। জামায়াতের সিনিয়র নেতারা যে বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে কিছু বলেন না, সেটিও দুঃখজনক। তারা পিআরের কথা বলেন, জামায়াতের হিন্দু শাখার কথা বলেন। ইসলাম উদার ধর্ম; ইসলাম ধর্মে কাউকে ঠকানো হয় না, ক্ষতি করা হয় না, হত্যা করতে বলা হয় না।
এছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াতকে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার করার জন্য নিষিদ্ধ করার দাবি বিভিন্ন সময়ে উঠেছে। জামায়াত মুনাফেক ও বেইমান দল।
তিনি আরও বলেন, কিছু দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে জামায়াত অন্যতম। জামায়াত ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। তারা উন্মাদ হয়ে নানা সময় নানা প্রলাপ বকছে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে ধর্মের পক্ষে কাজ করেছেন। শেখ পরিবার বাংলাদেশে ইসলামবিরোধী দল। শেখ মুজিবের নাতি জয়, পুতুল ও টিউলিপ—কেউই ইসলামের পক্ষে নেই। তাদের মাঝে ইসলাম ধর্ম নেই। শেখ হাসিনা ১৭ বছর বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের নাটক সাজিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, আমির হামজা একাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েননি, আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। নবী (সা.) সংবাদবাহক নন। আমির হামজার সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, এইসব ভণ্ড–পাগল আলেমদের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণ ও কোনো সভ্য আলেম থাকতে পারেন না।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তারা জামায়াতে ইসলামীর কঠোর সমালোচনা করে বলেন, জামায়াতের আদর্শ ঠিক নেই। তারা নিজেরা জান্নাতে যেতে পারবে কি না, সেটি নিশ্চিত নয়; অথচ সবাইকে জান্নাতে নিয়ে যেতে চায়। তারা সব সময় ভুলের ওপর থাকে। যে দলটি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে, তারাই আবার আজ বিএনপিকে নিয়ে কটূক্তি করছে। তারা নাফরমান। নির্বাচনে তারা কয়েকটি সিটও পাবে না। আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণই ঠিক করবে তারা কয়টি সিট পাবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। সঞ্চালনা করেন দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হোসেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ টি এম আবদুল বারী ড্যানী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হকসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নেতৃবৃন্দ।