
দেশচিন্তা ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের বহুল আলোচিত শীর্ষ স্থানীয় মানবপাচারকারী আবদুল আলী আবারো গ্রেপ্তার হয়েছেন।
কোস্টগার্ড সদস্যরা রবিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি রয়েছে মানবপাচারের এবং অন্যগুলো ইয়াবা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ সংক্রান্ত।
কোস্টগার্ড সূত্রে মানবপাচারকারী আবদুল আলীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা রবিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজ গ্রাম টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানকালে আবদুল আলীর ছেলে সাইফুল, দেলোয়ার ও আবদুর রহমান পালিয়ে গেছেন। তারাও আবদুল আলীর মানবপাচার সিন্ডিকেটের সদস্য।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘মাঝি থেকে পাচারকারী আবদুল’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে শীর্ষ মানবপাচারকারী আবদুল আলীর নাম উঠে আসে। এরপর পুলিশ তাকে গত ২৫ মে গ্রেপ্তার করে। মাস খানেক আগে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর আবারো নেমে পড়েন মানবপাচারে।
সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার পৃথক অভিযানে দুই শতাধিক পাচার হতে যাওয়া ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। সেই অভিযানে ১৬ জন পাচারকারীও গ্রেপ্তার হন। কিন্তু আবদুল আলী গা-ঢাকা দেন।
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান ‘আবদুল আলী বেশ কয়েক মাস কারাভোগের পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরেন। তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের অনেকগুলো মামলা রয়েছে।