
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের(সিইউজে) সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক রইসুল হক বাহারের শোকসভায় বক্তারা বলেছেন, তিনি সৎ সাংবাদিকতা ও চিন্তার বাতিঘর। সৎ সাংবাদিকতা ও চিন্তার মধ্যদিয়েই সাংবাদিকদের মাঝে বেঁচে থাকবেন তিনি। রইসুল হক বাহার সব সময় নিজের ও সহকর্মীদের অধিকার সর্ম্পকে সচেতন ছিলেন। সহকর্মীদের মধ্যে ছিলেন আর্দশের প্রতীক। ছোট-বড় সকল সহকর্মীকে তিনি সম্মান দিয়েই কাছে টেনে নিতেন।গত ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত শোকসভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামলের সভাপতিত্বে শোকসভায় বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, সিইউজের সহ-সভাপতি মো. আলী, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব কাজী মহসিন, সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, অর্থ সম্পাদক কাশেম শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম ইফতেখারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সিইউজের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহমেদ কুতুব, সুপ্রভাত ইউনিট প্রধান স ম ইব্রাহিম, পূর্বদেশ ইউনিট প্রধান রতন কান্তি দেবাশিষ, টিভি ইউনিট প্রধান অনিন্দ্য টিটু, দৈনিক কর্ণফুলীর বার্তা সম্পাদক মামুনুর রশিদ, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার দ্বৈপায়ন বড়–য়া রনি, সিভয়েসের সিনিয়র রিপোর্টার খোরশেদুল আলম শামীম, সাতকানিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিক উন নবী খোকন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত ১১টায় হƒদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন রইসুল হক বাহার। তিনি দীর্ঘদিন ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের ব্যুরো প্রধান, সুপ্রভাত বাংলাদেশ, দৈনিক পূর্বকোণ, নয়া বাংলাসহ স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের উপর বিভিন্ন গবেষনাধর্মী বই, লেখা, প্রবন্ধ ও সম্পাদকীয় লিখে নতুন প্রজšে§র কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছেন। তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরি করেছিলেন।