
দেশচিন্তা ডেস্ক: ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বিশ্বের যেসব রাষ্ট্রপ্রধান প্রতিবাদ জানানোর পরিবর্তে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সমর্থন দিচ্ছে, তাদের প্রতি ধিক্কার জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনে ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা চলছে। অসংখ্য নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মৌলিক অধিকার, খাদ্য, চিকিৎসা, আশ্রয়সহ সব মানবাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো সহযোগিতা করার পরিবর্তে বিরোধিতা করছে। আমরা এমন রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি ধিক্কার জানাই।’
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব থেকে শুরু হওয়া ‘প্রোটেস্ট অ্যান্ড সলিডারিটি র্যালি’তে তিনি এসব কথা বলেন।
র্যালিটি শাহবাগ মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তা যাত্রায় সংহতি জানাতে এই র্যালির আয়োজন করে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর শাখা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও মহানগর পশ্চিম শাখার সভাপতি হাফেজ আবু তাহেরের যৌথ সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তব্য দেন।
সিবগাতুল্লাহ বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষ ফিলিস্তিনের মজলুমদের পাশে আছে। আমরাও বাংলাদেশ থেকে তাদের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। আজ হোক বা কাল হোক—ফিলিস্তিন স্বাধীন হবেই, ইনশাআল্লাহ।’
বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ, ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এবং জাকসুর জিএস মাজহারুল ইসলাম।
এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমেনসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।