
দেশচিন্তা ডেস্ক: পার্শ্ববর্তী দেশের ইন্ধনে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মাধ্যমে পাহাড়বাসীর জনজীবন অতিষ্ট্য করে তোলার অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউপিডিএফকে এদেশ থেকে বিতাড়িত হবে এবং রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন সেটা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটিস্থ ৩০৫ পদাতিক সেনা ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক-পিএসসি।
বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে রাঙামাটি শহরের কালিবাড়িস্থ দূর্গা মন্ডপ পরিদর্শনকালে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইউপিডিএফ এর অস্ত্রধারী-সন্ত্রাসীদের আমি লাষ্টওয়ার্নিং দিয়ে বলতে চাই; এনাফ ইজ এনাফ; অনেক হয়েছে; আপনাদেরকে আমরা অনেক ছাড় দিয়েছি; বাট আমি আপনাদেরকে রাঙামাটি রিজিয়ন থেকে এতোটুকু এনশিউর করতে পারি এদেশ থেকে ইউপিডিএফকে বিতাড়িত করা হবে।
আপনারা(ইউপিডিএফ) যাদের মদদে আপনারা পাহাড়ে ধ্বংসাত্মক কাজ করছেন তাদের সেদেশেই আপনাদেরকে চলে যেতে হবে। ব্রিগেড কমান্ডার বলেন, এই পাহাড়, এই দেশ আমাদের: আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এদেশটাকে তৈরি করতে হবে।
আমাদের শান্তি-শৃঙ্খলা যদি ঠিকমতো থাকে তাহলে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনেক অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবো। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবো; ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারবো যাতে করে পাহাড়ের মানুষের জীবনমান্নোয়ন হয়। কিন্তু কু-চক্রি মহলরা সবসময় আমাদের মাঝে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার অপচেষ্ঠা করবে এই ক্ষেত্রে আমাদের সকলের একসাথে ঐক্যবদ্ধ থাকা লাগবে।
সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে যে সমস্যা হয়েছে সেটি আমাদের মাঝে বিশ্বাসের ফাটল তৈরি করেছে মন্তব্য করে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, কু-চক্রিমহল সবসময় আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। খাগড়াছড়িতে সংঘঠিত সংঘাতের রেশ রাঙামাটিতে লাগেনি আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের রাঙামাটিকে শান্ত রাখতে পেরেছি।
রাঙামাটিবাসী ও সংশ্লিষ্ট্য প্রশাসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সনাতনি সম্প্রদায়সহ আমরা সকলেই সম্মিলিতভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের শারদীয়া দূগোৎসব পালন করতে পারছি। এটা আমাদের বাংলাদেশের একটি সুন্দর দিক।
এসময় সেনাবাহিনী রাঙামাটি রিজিয়নের উর্দ্বতন কর্মকর্তাগণ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হাবিব আজম, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন, রাঙামাটিতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মী ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ পূর্নাথীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দূর্গা পুজাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রিজার্ভ বাজারের মন্ডপগুলোতে রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে কৌশল বিনিময় করছেন।