আজ : বৃহস্পতিবার ║ ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বৃহস্পতিবার ║ ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২৪শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

দেশচিন্তা ডেস্ক: কাতারের দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলায় এক কাতারি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় কাতারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ হামলায় নিহত হন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদর আল-দোসারি এবং অন্তত পাঁচজন নিম্নপদস্থ হামাস সদস্য।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর যৌথ ফোনালাপে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জাসিম আল থানির কাছে এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন নেতানিয়াহু। ক্ষমা চাওয়ার নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনিচ্ছাকৃতভাবে একজন কাতারি নাগরিক নিহত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, হামলা চলাকালীন কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন হামলা পুনরায় হবে না।’

৯ সেপ্টেম্বরের হামলায় লক্ষ্যবস্তু ছিল হামাসের শীর্ষ নেতারা, যারা যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি আলোচনায় যুক্ত ছিলেন। হামলার সময় হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব বেঁচে যান।

এটি কাতারে ইসরায়েলের প্রথম হামলা। কাতার মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার অন্যতম প্রধান মধ্যস্থতাকারী।

নেতানিয়াহু ক্ষমা প্রার্থনার সময় কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘ইসরায়েল হামাসকে লক্ষ্য করেছিল, কাতারিদের নয়। ভবিষ্যতে কাতারের ভূখণ্ডে কোনো হামলা হবে না।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হামলাকে কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে নিন্দা জানান। হামলার কয়েকদিন পর প্রায় ৬০টি মুসলিম দেশ দোহায় একত্রিত হয়ে কাতারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।

কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুলতান বারাকাত এই ক্ষমাপ্রার্থনাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কাতার শুরু থেকেই বলেছিল যে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এবং নেতানিয়াহু নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তারা মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারবে না। এটি শুধু হামাস-ইসরায়েল মধ্যস্থতার জন্য নয়, বরং সার্বিক মধ্যস্থতার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।’

এই ফোনালাপের মাধ্যমে কাতার এবং ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ