আজ : শনিবার ║ ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মিরসরাইয়ে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফারজানা আক্তার কলি (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পরাগলপুর গ্রামের নুর আহম্মদ সওদাগর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

জোরারগঞ্জ থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) হান্নান আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফারজানা আক্তার কলি ওই বাড়ির ওমান প্রবাসী ওমর ফারুকের স্ত্রী।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ ফারজানা আক্তার কলির বিয়ের ৫ বছর পার হলেও কোনো সন্তান না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর পরিবার নির্যাতন করে আসছিল। গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) কলির প্রবাসী স্বামী ওমর ফারুক ওমান থেকে দেশে ফেরার পর তার বাবার বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগও কমিয়ে দেয়। সোমবার রাত ৯টার দিকে কলির শাশুড়ি তার মরদেহ সিএনজি অটোরিকশাযোগে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে কিছুক্ষণ পর তিনি কলির পরনে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন।

নিহত ফারজানার মা আমেনা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তার শাশুড়ি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

নিহতের ফুফাতো বোন সাবিয়া খাতুন বলেন, কলির বিয়ে হয়েছে ৫ বছর। কোনো সন্তান না হওয়ায় গত ২ বছর ধরে তাকে নির্যাতন করে আসছিল স্বামীর পরিবার। তাকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। কলিকে আমরা ছোটকাল থেকে চিনি, সে এতবছর কিছু করেনি। আর কোনোদিনও সে আত্মহত্যা করতে পারে না। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ সবাই মিলে তাকে হত্যা করেছে।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহিম ফেরদৌস বলেন, সোমবার রাত ৯টার দিকে ফারজানা আক্তার কলি নামে এক গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় তার শাশুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ইসিজি করার জন্য তার পরনে থাকা স্বর্ণালঙ্কার খুলতে বললে নিহতের শাশুড়ি সব স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চলে যান। পরে আমরা জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিই।

জোরারগঞ্জ থানার এসআই হান্নান আল মামুন বলেন, মরদেহের সুরতহালে গলার পেছনে দাগ দেখা যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকলেও নিহতের শ্বশুরকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটন করা যাবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ