আজ : বুধবার ║ ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বুধবার ║ ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মাছ ধরার জালে লুকানো ছিল ৩০ হাজার ইয়াবা, গ্রেপ্তার তিন কারবারি

দেশচিন্তা ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবির বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাফ নদীতে নাজিরপাড়া বিওপি সীমান্ত এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)।

বিজিবি জানায়, দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিয়ানমারের কিছু মাদক কারবারির সহযোগিতায় মাছ ধরার আড়ালের নাফ নদী হয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করে। ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা কয়েকটি নৌ-টহল নিয়ে নাফ নদীতে অবস্থান নেয়। এসময় মিয়ানমারের মুংডু খাল থেকে একটি সন্দেহজনক জেলে নৌকা বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করলে বিজিবি তাদের ধাওয়া করে। পাচারকারীরা কেওড়া বাগানের দিকে নৌকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবির সদস্যরা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে।

পরবর্তীতে নৌকাটি তল্লাশি করে মাছ ধরার জালের ভেতর থেকে বিশেষভাবে মোড়কজাত একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটটির ভেতরে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। একই সঙ্গে নৌকায় থাকা তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—আব্দুল্লাহ, জহির আহমেদ ও কেফায়েত উল্লাহ। তাদের সবার বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর নাজিরপাড়ায়। এ ঘটনায় আরও এক পাচারকারী ইমাম হোসেন পলাতক রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা মিয়ানমার থেকে আনা ইয়াবার চালানটি স্থানীয় চোরাকারবারি ইমান আলীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা চুক্তি করে। তবে চালান হস্তান্তরের আগেই বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। মূল হোতা ইমান আলীকে ধরতে বিজিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অভিযান প্রসঙ্গে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার স্বার্থে বিজিবি মাদকবিরোধী অভিযানে সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সফলভাবে ৩০ হাজার ইয়াবার চালান আটক করেছি এবং তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। সীমান্ত এলাকায় মাদক ও সব ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে বিজিবির নজরদারি ও অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ