
দেশচিন্তা ডেস্ক: কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বৃহৎ পরিসরে অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাঁকখালীর কস্তুরাঘাট এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। যেখানে অভিযানকে কেন্দ্র করে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র কক্সবাজার নদীবন্দর (কস্তুরাঘাট) শাখার সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান জানান, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। আজ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপাতত ৫ দিনব্যাপী এই অভিযান চলবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত সময় বাড়ানো হতে পারে।
জানা যায়, কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী। এ নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে আগামী চার মাসের মধ্যে উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে গত ২৪ আগস্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ওই নির্দেশনার এক সপ্তাহের মধ্যেই কক্সবাজার সফরে এসে বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত জরুরি সভায় যোগ দেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত বাঁকখালী নদীর বর্তমান প্রবাহ এবং আরএস জরিপের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণপূর্বক নদীটিকে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে আগামী চার মাসের মধ্যে উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।