
দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে চুরির অপবাদ দিয়ে মব সৃষ্টি করে কিশোর পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মো. ফারাজ (২৮) নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কাঞ্চনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আসামি ফারাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রাম নগর থেকে বাড়ি ফিরছিল ওই তিন কিশোর। তাদের বাড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। বাড়ির কাছাকাছি এলে তাদের চোর অপবাদ দিয়ে সেতুতে বেঁধে পেটান বিভিন্ন ব্যক্তি। এতে ঘটনাস্থলে মো. রিহান মাহিন (১৫) নামের এক কিশোর মারা যায়। একই ঘটনায় রিহানের দুই বন্ধু মুহাম্মদ মানিক ও মুহাম্মদ রাহাত গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। রাহাত চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে আর মানিক ক্যাজুয়ালটিতে চিকিৎসাধীন। দুজনেরই শরীরের একাধিক হাড় ভেঙেছে।
এ ঘটনায় নিহত কিশোরের মা খদিজা বেগম বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাতজনকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজাদ হোসেন ও মো. নোমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁরা দুজন গত শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এতে তাঁরা বলেন, লাঠিসোঁটা, বিদ্যুতের মোটা তার ও কিলঘুষিতে কিশোরের মৃত্যু হয়। এতে অংশ নেন অন্তত ৪০ জন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া লোকজন সরে যান। স্থানীয় বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন, সুমন, তানভীরসহ অন্তত ৪০ জন তিন কিশোরকে মারধর করতে থাকেন। মারধরের একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মাহিন। তার মুখে পানি ছিটানো হয়। নিশ্বাস আছে কি না, নাকে হাত দিয়ে দেখা হয়। পরে সেখানে থাকা পল্লিচিকিৎসক নোমান নিশ্চিত করেন, মাহিন মারা গেছে। এরপর যে যাঁর মতো সরে যান।