
নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ :
চট্টগ্রাম চন্দনাইশ উপজেলার ছৈয়দাবাদ এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী মো. মহসিন হত্যা মামলার রায়ের ১জন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ৩য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ। অপর ৭ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।
আজ ১২ নভেম্বর বিজ্ঞ বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন। মামলার বর্ণনা সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে কাঠ ব্যবসায়ী মহসিনের সাথে টেলিভিশন দেখাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মজিবুর রহমান, আবদুর রশিদ, আবদুর রহমানের সাথে ভুল বুঝাবুঝির এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মহসিন সেখান থেকে উঠে চলে যায়। পরদিন সকালে ছৈয়দাবাদ মাও. আবদুর ছবুরের বাড়ির পুকুর পাড়ে মহসিনের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে এসে তার বড় ভাই এম এ হাশেম রাজু পরদিন চন্দনাইশ থানায় মজিবুর রহমানসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার চার্জ গঠনের পর দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চালাকালীন মামলার বাদী, ডাক্তার, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৭ সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ছৈয়দাবাদ এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মজিবুর রহমান (পলাতক) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। অপরাপর আসামী মজিবুর রহমানের ভাই আবদুর রহমান (পলাতক), লেদু মিয়ার ছেলে মো. জসিম উদ্দিন, মো. হাশেম, ফজল আহমদের ছেলে আবদুর রহমান, মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে ফজল আহমদ, লাল মিয়ার ছেলে আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস প্রদান করেন। অপর ১ আসামী আবদুল আলীম মামলা চালাকালীন সময় মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা যায়। মো. মহসিন ছৈয়দাবাদ এলাকার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে বলে জানা যায়। মামলার বাদী মহসিনের বড় ভাই এম এ হাশেম রাজু বলেছেন, আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তার ভাইয়ের খুনীরা মামলায় খালাস পেয়ে গেলেও তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান। তাছাড়া তার মায়ের নির্দেশে এ মামলায় তিনি আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি রায়ে সন্তুষ্ট নয়, বিক্ষুব্ধ, ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অঞ্জন বিশ্বাস। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন শুভু প্রসাধ বিশ্বাস , এড. কফিল উদ্দিন চৌধুরী ও এড. আবদুর রশিদ।