
নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ: চন্দনাইশ উপজেলার দুর্ঘম পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি চেমির মুখ সংলগ্ন শঙ্খ নদী থেকে রাত-দিন স্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলন করে ডাম্পারে করে নিয়ে যাচ্ছে বালু দস্যুরা। প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরব।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৩ দিন ধরে শঙ্খ নদীর চেমির মুখ বড়–য়া পাড়া এলাকা থেকে দিন-রাত ২টি স্কেভেটর দিয়ে নদীতে জেগে উঠা চরের বালু কেটে ডাম্পারে করে নিয়ে যাচ্ছে বালু দস্যূরা। সাবেক একজন ইউপি সদস্যসহ বান্দরবান বালাঘাট এলাকার জনৈক নাজিম উদ্দীনের নেতৃত্বে ১টি রাজনৈতিক দলের প্রভাব কাটিয়ে গত ৩ দিন ধরে শঙ্খ নদীতে জেগে উঠা চরের বালু ২টি স্কেভেটর দিয়ে উত্তোলন করে ২০ টির অধিক ডাম্পার (ট্রাক) এ করে বালুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বান্দরবান বালাঘাটা উপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। বান্দরবান বালাঘাটা স্বর্ণ মন্দির এলাকায় উপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে। সে উপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভরাটের কাজ চলছে। দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার দুর থেকে চন্দনাইশের ধোপাছড়ি চেমির মুখ বড়–য়া পাড়া এলাকা সংলগ্ন থেকে বালু উত্তোলন করে অবাধে নিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না কেউ। ইজারা বিহীন অবৈধভাবে শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলন করে চক্রটি সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার পাশাপাশি নিজেরা অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙ্গনের হুমমিতে পড়েছে চেমির মুখ বড়–য়া পাড়া এলাকা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। কি এক অজানা কারণে স্থানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরব রয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. রাজিব হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে তাকে ইতিপূর্বে কেউ অবহিত করেননি।
তিনি সোমবার (১১ আগস্ট) বিষয়টি জেনে সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলেছেন। তারা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।