
ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিল সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরেরা। ভাষা বেদিমূলে তাদের আত্মবলিদানে আজ বাংলাভাষা ১৯৫৬সালে সংবিধানের মাতৃভাষা রূপে স্বীকৃতি লাভ করে। পৃথিবির কোনো জাতিকে ভাষার জন্য প্রান দিতে হয়নি। শহিদদের রক্তের কারনে বাংলা ভাষা আজ অমর।
সেই শহিদদের যুগ যুগ স্মরণ রাখতে অধ্যাপক মো: হারুনুর রশীদকে চেয়ারম্যান ও মো: ছৈয়দকে সদস্য সচিব করে পটিয়ায় গঠিত হয় ২১ বইমেলা পরিষদ। উক্ত পরিষদের ব্যবস্তপনায় পটিয়া ক্লাব মাঠে ২২, ২৩, ২৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় ২১ বইমেলা। উক্ত বইমেলা আজ সমাপ্তির হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপাচার্য ড. অনুপম সেন। তিনি বলেন, পটিয়ার মত প্রান্তিক জনপদে বইমেলা’র জমজমাট অনেক আনন্দিত, অভিভূত। বইমেলা অনেক ভালো লাগে। ভাষার জন্য শহীদদের আত্মদানকে কেন্দ্র করে বইমেলার আয়োজন নিঃসন্দেহে বিশ্বের ইতিহাসে অসাধারণ ব্যাপার। সেই অসাধারণত্ব যেন বজায় থাকে এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি পটিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ আইয়ুব বাবুল, কবি ও নাট্য জন শিশির দত্ত, প্রধান আলোচক ছিলেন কবি ও সংবাদিক ( বাংলা একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত) বিশ্বজিৎ চৌধুরী, আলোচক চিলেন লেখক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক আবু সাঈদ, লেখক ও গবেষক মো: জামাল উদ্দিন।
উক্ত বইমেলার পাশাপাশি প্রতিদিন চট্টগ্রামের সনাম ধন্য সংগঠন ও স্থানীয় সাহিত্য সংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ কবিগান আবৃতি সংগিত নৃত্য নাটক পাপেট প্রদর্শন করছেন অবশেষে যারা এই মেলায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন বিশেষ করে প্রিয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ভেল্যুর সহযোগিতা পটিয়া ক্লাব ঢাকা ও চট্টগ্রামের সনাম ধন্য প্রকাশনা সমূহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করি নেতৃবৃন্দ সহ সকলকে ২১বইমেলা পরিষদের পক্ষ হতে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।