
মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : লোহাগড়া বড়হাতিয়ার অরিদা গোনার পানির লেক অপরিকল্পিত ভাবে কেটে দেওয়ায় সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জাখীল বাংলা বাজার, মঙ্গল চাঁদ পাড়া, দ্বীপের কুল, কুতুব পাড়া, সাইর তলি পাড়া, আচারতলি ছোট হাতিয়ায় মির্জাখীল বাংলা বাজার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাবেক সংসদ নদভীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ নাছির ও মনছুর আলম ২০২১ সালে অবৈধভাবে সোনাকানিয়া ছড়ায় উচ্চতা ১০০ ফুটের বাঁধ দিয়ে সেখানে মৎস্য চাষ শুরু করেন। এই বাঁধ দেওয়ার কারণে লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার অন্তত ৪ হাজার ২৫৫ একর জমির চাষাবাধ ব্যাহত হয়। কৃষকরা এই বাঁধ নির্মাণের শুরু থেকেই অভিযোগ করে এলেও প্রশাসন অবৈধ এই কর্মযজ্ঞের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেইনি।
বনবিভাগ এক কর্মকর্তা জানান, এই লেকের বিষয়ে তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় আইনি প্রক্রিয়া শুরু করলে স্থানীয় সাবেক সংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর হস্তক্ষেপের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সোনাকানিয়া এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে করেন সাতকানিয়া উপজেলা (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরাফার ছিদ্দিকী সোনাইছড়ি খালের ওপর নির্মিত স্লুইজ গেইটটি ভেঙে গেছে। শত শত মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। জমির ফসল নষ্ট হয়েছে অন্তত ৫০০ একর। পূর্ব সর্তকতা ছাড়া বাঁধ কেটে কৃষক ও সাধারণ মানুষের ক্ষতি করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিকট শব্দে দিয়ে এলাকায় পানি প্রবেশ করে। এতে শতাধিক বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাটির ঘর গুলো সম্পূর্ণ ভেঙে যায় এতবড় ক্ষতি গত ভয়বহ বন্যায় ও হয়নি। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার কৃষকের কান্নাকাটি থামছে না।