
দেশচিন্তা ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, শহীদ উসমান হাদির কফিনের পাশেই যেন দাঁড়িয়েছিল দেশে ও প্রবাসের সকল মানুষ। গোটা বিশ্বের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিলো ঢাকায়। জানাজায় উপস্থিত লাখো লাখো জনতার পাশাপাশি আবাল বৃদ্ধ বণিতা অশ্রু ঝরিয়েছে শহীদ হাদীর জন্য, আকুতি প্রকাশ করেছে শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার। ওসমান হাদি ছিলেন ফ্যাসিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ ও দোস্ত-দুশমন সকলের জন্য ইনসাফ প্রতিষ্ঠার প্রাণপুরুষ। তিনি ছিলেন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একজন অকুতোভয় সৈনিক।
আজ রবিবার (রাত ৮টায়) দেওয়ানবাজারস্থ চট্টগ্রাম মহানগরীর কার্যালয়ে এক থানা দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চব্বিশ জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে ধারণ করে নতজানু নীতি পরিহার করে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির উপরই দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশকে। আবরার ফাহাদ ও উসমান হাদীসহ ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ে শহীদদের আত্মত্যাগ তখনই স্বার্থক হবে যখন গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ আইনী মর্যাদা পাবে এবং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, জানাজায় উচ্চারিত শ্লোগান নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবর, বাংলাদেশ বাংলাদেশ- জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, দিল্লি না ঢাকা- ঢাকা ঢাকা, গোলামি না আজাদি-আজাদি আজাদি ইত্যাদিই আমাদের জাতীয় শ্লোগান এবং চেতনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ চেতনার ভিত্তিতে নির্বাচিত সরকারকে ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি ও দারিদ্র্যমুক্ত ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেই শহীদ উসমান হাদীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এভাবেই হত্যার বদলা নেয়া হবে ইনশা-আল্লাহ্।
উক্ত বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. সিদ্দিকুর রহমান, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোছাইন, মাহমুদুল আলম, ফখরে জাহান সিরাজী, প্রফেসর মুহাম্মদ নুরুন্নবী, ফারুকে আজম, মুহাম্মদ ইসমাঈল, ড. আ ম ম মাসরুর হোসাইন প্রমুখ













