আজ : বৃহস্পতিবার ║ ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বৃহস্পতিবার ║ ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১৩ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আমরা একসঙ্গে কাজ করে আগামীর প্রত্যাশিত পঞ্চগড় গড়ে তুলব: সারজিস আলম

দেশচিন্তা ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, সমমনা মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের আলোচনা এখনও চলছে। জোট ঘোষণার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও আরও বিস্তৃত পরিসরে জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় সেটি পিছিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, আমরা মনে করছি, জোটের রূপরেখা ও বিস্তৃতি আরও বড় হওয়া প্রয়োজন। খুব শিগগিরই বৃহত্তর পরিসরে এ জোট ঘোষণা করা হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে এনসিপি প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি দ্রুতগতিতে কাজ করছে এবং প্রথম ধাপের মনোনয়ন তালিকা শনিবারের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।

বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনও সম্ভাবনাকে এখনই উড়িয়ে দিচ্ছি না। দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে এলায়েন্সকেন্দ্রিক আলোচনা চলবে। যারা সংস্কারের পক্ষে, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার পক্ষে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে- তাদের সঙ্গে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।

সদ্য ঘোষিত পঞ্চগড় এনসিপি কমিটিতে জাতীয় পার্টির তিন নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি, যাদের ভালো ইমেজ, গ্রহণযোগ্যতা ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আছে- তাদের নিয়ে কাজ করতে।

তিনি আরও বলেন, গণআন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের কোনও ইউনিটে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা হয়নি। তবে বিএনপি, জাগপা বা জাতীয় পার্টির সঙ্গে আগে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে কোনও পদে নেই- এমন ইতিবাচক ভাবমূর্তির ব্যক্তিদের যাচাই করে দলে নেওয়া হয়েছে।

সারজিস আলম বলেন, অনেকেই আগের রাজনৈতিক দলগুলোর রীতি, শৃঙ্খলা ও নীতির সঙ্গে একমত হতে না পেরে রাজনীতি থেকে সরে গিয়েছিলেন। এখন তারা এনসিপির দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সিন্ডিকেটবিরোধী অবস্থান দেখে নতুন রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। আমরা একসঙ্গে কাজ করে আগামীর প্রত্যাশিত পঞ্চগড় গড়ে তুলব।

গত তিন মাসে পঞ্চগড়ের প্রায় ২০০ মসজিদ ও মন্দিরে প্রায় ৪ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ আনা হয়েছে বলে দাবি করে সারজিস আলম বলেন, গত ২০ বছরে বড় বড় এমপি-মন্ত্রীরাও এ বরাদ্দ আনতে পারেনি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ