আজ : মঙ্গলবার ║ ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : মঙ্গলবার ║ ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইসির প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট, নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণই বড়ো চ্যালেঞ্জ : ইইউ

দেশচিন্তা ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন এবং একইসঙ্গে জুলাই চার্টার সম্পর্কিত গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে ইইউ মনে করে, এমন এক প্রজন্মকে ভোটে অংশগ্রহণ করানো হবে নির্বাচনের সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। ইসির এই চ্যালেঞ্জকে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে এবং আন্তর্জাতিক সুনাম পুনরুদ্ধারের এক বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখছে ইইউ।

মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

তিনি জানান, মক মহড়ার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়েছি এবং ইসির উন্নত প্রস্তুতির স্তর দেখে মুগ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের লজিস্টিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ইসির উন্নত বিবেচনাকে আনরা স্বাগত জানাই।

ইইউ বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ‘অঙ্গীকার এবং পেশাদারিত্ব’ এবং ‘সুসংগঠিত নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা’-কে স্বীকৃতি দেয়। ইইউ একটি বিশাল নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা ২০২৬ সালের বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোর একটি পর্যবেক্ষণ করবে। এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর ইইউর আস্থার নিদর্শন।

গণভোট ছাড়াও বাংলাদেশের নির্বাচনের সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মিলার বলেন, চ্যালেঞ্জ হবে যে, আপনাদের এমন একটি প্রজন্ম রয়েছে, যারা আগের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা নিজেরাই সেই নির্বাচনগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল, কারণ তারা জানত যে সেগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না, অথবা তারা ভয় পেয়েছিল যে ভোট দেওয়ার কাজটি সহিংসতার সঙ্গে হবে। সুতরাং, আপনাদের কাছে এমন এক প্রজন্ম এবং হয়ত আরও বেশিসংখ্যক ব্যক্তি রয়েছে যারা কখনও ভোট দেননি। এই পরিস্থিতিতে, নাগরিক ভোটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সাধারণ ভোটারদের বোঝাতে হবে যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বলতে কী বোঝায় এবং গণভোটের তাৎপর্য কী।

তিনি জানান, আমরা এই সব ধরনের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট। নির্বাচন কমিশন দিনের সম্ভাব্য সব জটিলতা সম্পর্কে আগে থেকেই ভাবছে এবং তারা আমাদের কল্পনা করতে পারা সব প্রশমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ইইউ ভোটদানের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে খুবই বুদ্ধিমানের কাজ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ