
দেশচিন্তা ডেস্ক: দখল করা অঞ্চল থেকে কিয়েভ সৈন্য না সরালে আরও ভূখণ্ড দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে যুদ্ধ ইস্যুতে রাশিয়ার হুমকি বা কোনো আলটিমেটামের ওপর নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়ের নির্ধারিত শর্তের ওপর শান্তি নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
যুদ্ধকবলিত ইউক্রেনীয় শহর পোকরোভস্কের উত্তরাংশে রুশ সেনারা আরও অগ্রসর হয়েছে এবং সিভেরস্কের দক্ষিণে একটি গ্রাম দখল করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এমন দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও ২৪ ঘণ্টায় পোকরোভস্ক ফ্রন্টে মস্কোর বেশ কয়েকটি হামলা প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী। শহরের ভেতরে রুশ ইউনিটগুলোকে ধ্বংস করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছে বাহিনীটি।
এদিকে, রাশিয়ার সামরিক আক্রমণের কারণে জাপোরিজজিয়া অঞ্চলে ইউক্রেনের পুরো সেক্টোরাল ফ্রন্টলাইন সেনারা ধ্বংসের মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ সরকার।
পোকরোভস্ককে দনেৎস্কের প্রবেশদ্বার হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। মস্কোর দাবি, শহরটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে দনেৎস্ক অঞ্চলের ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত সবচেয়ে বড় দুই শহর ক্রামাতোরস্ক ও স্লোভিয়ানস্কের দিকে অগ্রসর হওয়ার ভিত্তি তৈরি হবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রস্তাব করেছে, তা ভবিষ্যৎ চুক্তির ভিত্তি হতে পারে। তবে একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দখল করা অঞ্চল থেকে কিয়েভ সেনা না সরালে রুশ সেনারা জোর করেই আরও ভূখণ্ড দখল করবে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে যুদ্ধ ইস্যুতে আগামী সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল মস্কো সফরে যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, রাশিয়ার হুমকি বা কোনো আলটিমেটামের ওপর নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়ের নির্ধারিত শর্তের ওপর শান্তি নির্ভর করছে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বলেছেন, ইউক্রেনীয় ও মার্কিন প্রতিনিধি দল চলতি সপ্তাহেই যুদ্ধ শেষ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করবে, যা শান্তি আনার পাশাপাশি কিয়েভের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদানে সহায়তা করবে।

















