আজ : সোমবার ║ ২৭শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : সোমবার ║ ২৭শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১১ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নির্বাচন ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়িত হবে না : জোনায়েদ সাকি

দেশচিন্তা ডেস্ক: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘নির্বাচন ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়িত হবে না। বিপ্লব করলেও শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্ট লাগে; একটা সংসদ, একটা সংবিধান কিংবা যেকোনো কিছুকে বৈধতা দিতে। একটা জনপ্রতিনিধির মধ্য দিয়ে বৈধতা দেওয়া হয়। কাজেই আগামী সংসদের নির্বাচন ছাড়া আমরা এই পুরো সংস্কার প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করতে পারব না। আমরা আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়ে একমত হয়েছি।’

রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণ অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় এ কথা বলেন সাকি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যে সনদ (জুলাই জাতীয় সনদ) তৈরি হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে মৌলিক সংস্কারের ক্ষমতা আমরা গণভোটের মাধ্যমে আগামী সংসদের কাছে অর্পণের ব্যাপারে একমত হয়েছি। এই কাজ যদি আমরা সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে সত্যি সত্যি আমরা নতুন যাত্রা তৈরি করতে পারব।

নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রলম্বিত কিংবা বাধাগ্রস্ত করলে সেটি আমাদের কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।’
রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ছাত্রসমাজ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমাদের ছাত্রসমাজ কিন্তু এটা গ্রহণ করেছে বলেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আওয়াজটা উঠেছিল। এটা এমন নয় যে কোনো একজন বললেন আর সেটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল। এটা দীর্ঘদিন ধরে সমাজের ভেতরে, রাজনৈতিক সংগ্রামের ভেতরে তৈরি হয়েছে বলেই ছাত্রসমাজ এটাকে আলিঙ্গন করেছে, উদযাপন করে।

তিনি বলেন, ‘প্রথমেই চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অভিনন্দন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় থেকে আমরা নুরুল হক নুর, রাশেদ, মামুন, ফারুক তাদের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করি। তারা একসঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলন করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরেই নানাভাবেই আন্দোলনকারীদের ওপরে এক ধরনের অত্যাচার নেমে এসেছে। বিশেষভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার বিষয় এবং সেই হামলার অবস্থা থেকেই আমাদেরও এক ধরনের সংহতি গড়ে উঠেছে।

যতবার মার খেয়েছে ততবারই হয় হাসপাতালে দেখতে যেতে হয়েছে, না হয় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে হয়েছে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিষয়ে আমাদের একমত থাকা দরকার। বাংলাদেশ বিষয়ে আমরা একমত থাকতে চাই। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো স্বার্থ হচ্ছে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। বিচার দরকার কেন, ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো রাষ্ট্র তার জায়গায় দাঁড়াতে পারে না। আর সংস্কার আমাদের বাংলাদেশের এই রক্তের যে অঙ্গীকার, সেই সংস্কার নতুন বাংলাদেশে আমাদের দিতে হবে।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ