আজ : মঙ্গলবার ║ ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : মঙ্গলবার ║ ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২২শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শহীদ জিয়ার খাল খনন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন: মেয়র শাহাদাত

দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, সততা ও অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন আজও সমান প্রাসঙ্গিক। কৃষি, গার্মেন্টস ও মানবসম্পদ উন্নয়নের যে দর্শন তিনি দিয়েছিলেন, তা-ই বর্তমান সংকট উত্তরণের মূল চাবিকাঠি।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার নির্দেশিত কৃষি বিপ্লবই বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বনির্ভরতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। যদি আমরা আবারও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে চাই, তবে জিয়ার দর্শনে ফিরে গিয়ে কৃষি ও উৎপাদনমুখী অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি ছিল অর্থনৈতিক মুক্তিরই প্রতীক।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) চন্দনাইশের হারলা গ্রামে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে বরুমতি খাল খননের সময় বিশ্রাম নেওয়া ঐতিহাসিক স্মৃতিফলক পুনঃনির্মাণ ও নবনির্মিত বৈঠকখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, শহীদ জিয়া ১৯৭৭ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে খাল খনন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখা এবং শুষ্ক মৌসুমে সেচব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ১৯৭৯-১৯৮১ সালের মধ্যে ২৭৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৬৩৬ মাইল খাল খনন করা হয়। এর ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায় এবং গ্রামীণ স্বনির্ভরতা জোরদার হয়।

তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, কালের বিবর্তনে শহীদ জিয়ার স্থাপিত স্মৃতিফলকটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আজ পুনঃনির্মিত স্মৃতিফলক ও বৈঠকখানা আমাদের ইতিহাসকে নতুন করে ধারণ করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া যেই স্থানে বসে খাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন, আজ আবারও আমরা সেই অবদান স্মরণ করছি।

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আরও বলেন, খাল খনন শুধু গ্রামীণ উন্নয়ন নয়, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনেও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে খাল-নদী দখল, দূষণ, বিশেষ করে পলিথিন- প্লাস্টিকের স্তর পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্ণফুলি, হালদা ও সাঙ্গু নদী রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ এখনই জরুরি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মো. ইদ্রিস মিয়া, বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, মো. ইখতিয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, খন্দকার হেলাল উদ্দিন সিআইপি, মোস্তাফিজুর রহমানসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ