‘ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব, সহনশীলতা ও মানবসেবাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে’

দেশচিন্তা ডেস্ক: চন্দনাইশ বরকল ২নং ওয়ার্ড গাউসিয়া কমিটির আয়োজনে গত ২৭ সেপ্টেম্বর’ ২৫ শনিবার দিনব্যাপী উত্তর বরকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খাজায়ে খাজেগান, খলিফায়ে শাহে জীলান, উলূমে লা-দুন্নিহায়্যাহর ধারক হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী (রা:) প্রণিত পবিত্র খতমে মাজমূ’আহ্ -এ সালাওয়াতে রসুল (দ:), পবিত্র শাহাদাতে কারবালা মাহফিল ও আওলাদে রাসুল (দরূদ) গাউসে জামান আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ্ (রা:)’র সালানা ওরশ মোবারক ও ঈদে মিলাদুন্নবী (দরূদ)’২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি মুহাম্মদ আলম খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ১ম অধিবেশনে ছদারত করেন উস্তাযুল ওলামা আল্লামা অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান নিজামী (মু:জি:আ)। তাকরির পেশ করেন উপাধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ আবু নাছের আলকাদেরী (মা:জি:আ)। ২য় অধিবেশনে মূখ্য আলোচকের আলোচনা করেন শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ আশরাফুজ্জমান আলকাদেরী। আলোচক ছিলেন, মুজাহেদে মিল্লাত আল্লামা মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রেজভী (মা:জি:আ), আল্লামা ক্বারী মুহাম্মদ ফেরদৌসুল আলম খান আলকাদেরী (মা:জি:আ), মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন খান, মাওলানা মুহাম্মদ ফরহাদ রেজা কাদেরী। মাহফিলে বক্তারা বলেন রাসূলুল্লাহ (দঃ)-এর জীবনীই মানবজাতির জন্য চিরন্তন আদর্শ। তাঁর দেখানো পথেই রয়েছে বিশ্বশান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবকল্যাণের প্রকৃত দিকনির্দেশনা। তাঁরা আরও বলেন, গাউসে জমান আওলাদে রাসুল (দরূদ) আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রা:) ছিলেন একাধারে আল্লাহওয়ালা, আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক ও সমাজ সংস্কারক। তাঁর শিক্ষণীয় জীবনাদর্শ ও ত্যাগ-তিতিক্ষার অনুপ্রেরণা আজকের প্রজন্মকে আলোকিত করবে। বক্তারা মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও সত্যিকার দ্বীনি চেতনা জাগ্রত করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, এ ধরণের মাহফিল সমাজে নৈতিকতা, মানবিকতা ও ঈমানি চেতনাকে শক্তিশালী করে। ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব, সহনশীলতা ও মানবসেবাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বেলাল উদ্দীন চৌধুরী ও হাফেজ মুহাম্মদ ওবাইদুল হাসান রায়হানের যৌথ পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিএম শাহাদত হোসাইন মানিক। উপস্থিত ছিলেন-অধ্যক্ষ আল্লামা গাজী মুহাম্মদ ইকবাল তাহেরী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মামুন উদ্দীন সিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমিন আলকাদেরী, মাওলানা মীর মুহাম্মদ জামশেদুল আলম আনসারী, মাওলানা মুহাম্মদ মফিজুল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সোলাইমান খান, জিএম তৈয়ব আলী, মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন খান, মুহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, মুহাম্মদ আবু ইউছুফ তালুকদার, মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম মিয়াজী, মুহাম্মদ ইদ্রিস, আলহাজ্ব মুহাম্মদ সাঈদ ইবনে খায়ের, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান সাইরা, মুহাম্মদ সাইফুদ্দীন খান (মেম্বার), জিএম মনছফ আলী কন্ট্রাক্টর, মুহাম্মদ কায়কোবাদ, মুহাম্মদ আমির হোসেন চৌধুরী, জিএম সিরাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, মুহাম্মদ আজিজুর রহমান চৌধুরী রাসেল, মুহাম্মদ সাকিব চৌধুরী, মুহাম্মদ মনির হোসেন, মাওলানা মুহাম্মদ মাহাবুব আলম চৌধুরী, জিএম আহসান হাবীব, মুহাম্মদ এহেছান তালুকদার, মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন চৌধুরী, মাস্টার মুহাম্মদ আনিছ, মুহাম্মদ মনজুরুল কবির চৌধুরী, হাফেজ মুহাম্মদ আনিস, মুহাম্মদ খোরশেদুল আলম চৌধুরী, মুহাম্মদ মনিরুল আলম টিটু, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মুহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন সোহেল, মুহাম্মদ মারুফ ইসলাম, আহমদ কবির, মুহাম্মদ বেলাল উদ্দীন, মুহাম্মদ রিদোয়ান তালুকদার, জিএম কায়ছার আলম, মুহাম্মদ মহিউদ্দীন চৌধুরী, জিএম ফোরকান, গাজী মুহাম্মদ বোরহান উদ্দীন, মুহাম্মদ আজিজুর রহমান, মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন চৌধুরী, মোক্তার উদ্দীন, গাজী গিয়াসুদ্দীন আরাফাত, জিএম নুরুল আলম, জোনায়েদ সাব্বির, সাব্বির চৌধুরী, ফখরুদ্দীন রেজভী, মোহাম্মদ আজম, মুহাম্মদ জয়নাল সওদাগর, জিএম আবু হানিফ, মুহাম্মদ করিম, মাওলানা মুহাম্মদ আবুল বশর, মাওলানা মুহাম্মদ হাসান আলী নুরী, মাওলানা মুহাম্মদ আবু হানিফ, মাওলানা মুহাম্মদ আলী আকবর, হাফেজ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, হাফেজ মুহাম্মদ আবদুর রহিম, হাফেজ মুহাম্মদ মিনহাজুর রহমান প্রমুখ।