
দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রামের ব্যাংকারদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও ইসলামী ব্যাংককে কর্মরত ৫৫০০ জন ব্যাংকারকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আজ (২৯ সেপ্টেম্বব ২০২৫ ইংরেজি) সোমবার বিকাল ৩ টায় বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম অধিকার আন্দোলন এর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মাওলানা এনাম রেযার সঞ্চালনায় সমাবেশে রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা ইদ্রিস মিয়া, লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান, ইসলামী ফ্রন্ট নেতা এম সোলাইমান ফরিদ, ইঞ্জিনিয়ার আবু আজম, নাছির উদ্দীন মাহমুদ, আলমগীর বঈদী, বেলাল হোসাইন এনসিপি নেতা মোঃ সরোয়ার কামাল, আরিফ মঈনুদ্দিন, মীর সোয়াইব, সাঈদুর রহমান, রিদুয়ান হৃদয়, মহিউদ্দিন জিলানী। ইসমাইল শরীফ, মোঃ ফরহাদ সবুজ, গণঅধিকার নেতা জসিম উদ্দিন, যুবসেনা নেতা নিজামুল করিম সুজন, হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দিকী, অর্কিডের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন খান, চট্টগ্রাম কোর্টের এপিপি কাজী মুফিজুর রহমান, এপিপি মোহাম্মদ লোকমান শাহ, কৃষকদল নেতা জসিম উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলন নেতা মোঃ আইমন, ছাত্রসেনা নেতা নূর রায়হান চৌধুরী, মো. ওসমান, আরিফ হোসেন সবুজ, তারেক, মোবারক, হেলাল, ইমাম-খতিব সংস্থা প্রতিনিধি মাওলানা মোজাম্মেল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ২৪’র গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী কুচক্রীমহল চট্টগ্রামের ব্যাংকারদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে, অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করছে। এই ব্যাংকারগণ ৪/৫ থেকে ৭/৮ বছর যাবত চাকরি করছেন। তাদের প্রায় প্রত্যেকের নতুন চাকরিতে প্রবেশের বয়সও শেষ হয়ে গেছে। হঠাৎ অবৈধভাবে চাকুরিচ্যুতির ফলে প্রত্যেকের পরিবার আর্থিক অনটনে পতিত হচ্ছে। এবার ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত ৫৫০০ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষার কুটকৌশল গ্রহণ করে। মহামান্য হাইকোর্টের রুল অমান্য ইসলামী ব্যাংক পরীক্ষার আয়োজন করে আদালত অবমাননা করেছে।সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তার ইউজার আইডি ইনএক্টিভ করে রাখা হয়েছে, ফলে কেউ অনলাইনে ইন-আউট দিতে পারেনি, সারাদিন কোন ব্যাংকিং কার্যক্রমেও অংশগ্রহতে দেয়া হয়নি। সবচেয়ে সারামাস চাকরির পর তাদের বেতন যেন তুলতে না পারে মতো একাউন্ট ফ্রিজ করেছে। আমরা তাদের অপকর্মের নিন্দা জানাচ্ছি। চট্টগ্রাম সন্তানদের বিরুদ্ধে এহেন ষড়যন্ত্র ও মানবতা বিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রামবাসী উপযুক্ত জবাব দিবে। বক্তারা অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল হিসাবে আপনার যথাযথ ভূমিকা আমরা দেখতে চাই। কারো দলীয় এজান্ডায় যেন দেশের অর্থ ব্যবস্থা ধ্বংস না হয় এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চাই। চট্টগ্রামের ব্যাংকারদের বিরুদ্ধে এ বৈষম্য, নির্যাতন, চাকুরিচ্যুতি বন্ধ সরকার পদক্ষপ গ্রহণ না করলে যেকোন পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ দায়ী থাকবেন। নেতৃবৃন্দ প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ দাবি করেন বলেন, প্রয়োজনে নির্বাহী আদেশে ইসলামী ব্যাংকের ছাঁটাই বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। সমাবেশ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন, চট্টগ্রাম অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাড. মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। কর্মসূচি গুলো হলো- ১. কর্মকর্তা ছাঁটাই বন্ধ না হলে আগামীকাল থেকে চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট হোল্ডারগণ একাউন্ট ক্লোজ করবেন। ২. প্রবাসীরা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণ বন্ধ রাখবেন। ৩. শুক্রবার বাদে জুমা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চেরাগী পাহাড় মোড়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়।