
দেশচিন্তা ডেস্ক: আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমাশিল্পী ও মণ্ডপ আয়োজকরা। জেলার ৬৪টি মণ্ডপে চলছে প্রতিমা ও সাজসজ্জার শেষ মুহূর্তের কাজ। শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় মাটির প্রতিমা হয়ে উঠছে অপরূপা, আর মন্দিরগুলোতে দিনরাত জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি।
খাগড়াছড়ি পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্রে জানা যায়, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমী ও দেবীর বোধন, ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমী, ১ অক্টোবর নবমী এবং ২ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গা গজে (হাতি) চড়ে আগমন করবেন এবং দোলা বা পালকিতে বিদায় নেবেন।
উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিনস্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, দুর্গম এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলো চিহ্নিত করে সেখানে স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে পুলিশের টহল, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি ও মোবাইল পেট্রোলিং। এছাড়াও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুমার মজুমদার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্নের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করবে। গত বছরের মতো এবারও শঙ্কাহীন উৎসব হবে।’
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, জেলা পর্যায়ে প্রশাসন, পুলিশ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষ হয়েছে। পূজার সময় পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশও দায়িত্বে থাকবে।
গত বছরের তুলনায় এবার মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। আয়োজকরা আশা করছেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই অংশ নেবে এই উৎসবে। পূজা উদযাপন পরিষদ আশাবাদী, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।