আজ : শনিবার ║ ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সুশীলা কার্কি হচ্ছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী, রাতেই শপথ গ্রহণ

দেশচিন্তা ডেস্ক: নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় শপথ নেবেন তিনি। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদন মতে, জেন-জি বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌদেল এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেলের মধ্যে ঐকমত্যের পর সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌদেলের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল জানান, শুক্রবার সকাল থেকে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় শীতল নিবাসে ব্যাপক আলোচনার পর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে একটি সমঝোতা হয়।

এই পদক্ষেপ জেন-জি বিক্ষোভকারীদের দাবির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তারা অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দেয়ার এবং একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পোখরেল আরও জানান, কার্কি আজ রাত ৯টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর মধ্যদিয়ে নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন সুশীলা কার্কি। তার নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি ছোট মন্ত্রিসভার থাকবে এবং আজ শুক্রবার রাতেই প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিসভা পার্লামেন্টের পাশাপাশি সাতটি প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কেপি শর্মা ওলির সরকার পতনের পর নেপালে স্থিতিশীলতা ফেরাতে জেন–জিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে সেনাবাহিনী। নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়ে চলে আলোচনা। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা আলোচনার পর জেন-জি শিক্ষার্থীরা সুশীলার নাম প্রস্তাব করেন।

তবে সুশীলা কার্কির বয়স নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির একজন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুলমান ঘিসিং-এর নাম প্রস্তাব করে আন্দোলনকারীদের একাংশ। কাঠমান্ডুর মেয়র ৩৫ বছর বয়সি র‍্যাপার-রাজনীতিবিদ বলেন্দ্র শাহকেও প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছিল।

তবে বেশিরভাগ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় বলেন্দ্র শাহ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সুশীলা কার্কির প্রতি সমর্থন জানান। শেষ পর্যন্ত বর্ষীয়ান সুশীলা কার্কির ওপর আস্থা রাখছেন জেন-জি বিক্ষোভকারীরা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ