আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সন্দীপনা আয়োজিত আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার এর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তারা আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার আর কোহিনুর প্রেস এই দুই সত্তা ৭১’এর মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ

দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার এর ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় সংগঠনের দোস্ত বিল্ডিংস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। “আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার কোহিনুর প্রেস এই দুই সত্তা ৭১’এর মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন-সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চ.বি গবেষক ভাষ্কর ডি.কে.দাশ (মামুন)। অনুষ্ঠানে সম্মানিত আলোচকবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সহকারী জজ এডভোকেট মঞ্জুর মাহমুদ খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম কুতুবী, প্রদান শিক্ষক বাবুল কান্তি দাশ, ফটোআর্টিষ্ট বিশ্বজিৎ দাশ গুপ্ত, সংগঠক মানস শেখর, শ্রমিক নেতা কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সংগঠক জসীম উদ্দিন চৌধুরী, নাট্যজন শেখ শওকত ইকবাল, সংগঠক প্রণব রাজ বড়–য়া, সংগঠক ও শিল্পী স্বপন কুমার দাশ, আইটি এক্সপার্ট মোহাম্মদ ইসমাইল, সাংবাদিক হারুনুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদ, প্রধান শিক্ষক তরনী সেন, কবিয়াল সন্তোষ কুমার দে, কবিয়াল আবদুল লতিফ, নাট্যকর্মী মোহাম্মদ দিদার হোসেন, ধনঞ্জয় শর্মা, মোহাম্মদ রাশেদ, মোঃ আজগর আলী, একরামুল হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে মরহুম ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর সংগীতের মাধ্যমে মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন- শিল্পী এম.এ হাশেম, ডা: শিউলী চৌধুরী, শিল্পী উজ্জ্বল সিংহ, শিল্পী মুসলিম আলী জনি, শিল্পী বৃষ্টি দাশ, শিল্পী নিগার সুলতানা, শিল্পী মৈত্রী আচার্য, শিশু শিল্পী তিথি দাশ প্রমুখ।
বাচিক শিল্পী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী’র সঞ্চালনায় আলোচনায় বক্তারা বলেন- আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে অনেকটা মফস্বল নগরী চট্টগ্রামে আজাদী পত্রিকা নিয়ে প্রকাশনার মত দুরহ একটি কাজে হাত দিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক। এই চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য শুধু নয়, ৭১’ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরাবান্বিত ইতিহাসের সাথে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক ও কোহিনুর প্রেস তথা আজাদী পত্রিকা চির কালের জন্য অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। এই পত্রিকার বুকে লেখালেখি করে এই জনপদে বহু খ্যাতিমান কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকের সৃষ্টি হয়েছে। সেই নিরিখে শিক্ষিত অগ্রসরমান একটি সমাজ বিনির্মাণে ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের অবদান প্রণিধানযোগ্য। তবে আক্ষেপের বিষয় আজাদী পত্রিকাকে সেই ভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় আজও তুলে ধরা হয়নি। এটি আমাদের মানবিক ও মানসিক ব্যর্থতা। আলহাজ্ব আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার একজন ধর্মভীরু অথচ প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন। তাঁর মানস চরিত্রের ভিতর পশ্চাদপদ সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে সাহস ও উদ্যোগ আমরা দেখতে পেয়েছি, তা পরবর্তীতে অনেকের কাছে অনুকরণীয় হয়েছে। আজ আজাদী পত্রিকার কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ, এই শ্রীবৃদ্ধির পিছনে মৌলিক রূপকার হিসাবে আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার যুগ যুগ ধরে দেশ ও জাতির প্রেরণার বাতি ঘর হয়ে থাকবে। অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে ভাষ্কর ডি.কে. দাশ (মামুন) আয়োজনের পক্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক ও দৈনিক আজাদী’র অবিকৃত ইতিহাস রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠাপোষকতায় জাতীয় যাদুঘরে বিশেষ কর্ণার করে সংরক্ষণের দাবী জানান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ