দেশচিন্তা ডেস্ক : রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ) বলেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন বিশ্ব মানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। মহানবীর আগমন ছিল সকল সৃষ্টির জন্য রহমত, বরকত ও মহা আনন্দের। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক থেকে অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত আরব সমাজকে খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন। গোটা মানব সমাজকে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহান আদর্শে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি ইনসাফভিত্তিক শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে অনুসরনীয় নজীর স্থাপন করেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিকই তাই সকলের জন্য অনুসরণীয়। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তিনি সারা দুনিয়ার জন্য অনুপম আদর্শ।
রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী ম.জি. ১৩ সেপ্টেম্বর জুমাবার বাদ মাগরিব বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের উদ্যোগে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নগরীর ধনিয়ালাপাড়া বায়তুশ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত পাঁচদিন ব্যাপী কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিবসে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। দ্বিতীয় দিবসে সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ছিল রচনা প্রতিযোগিতা, অর্থসহ চল্লিশ হাদিসের মুখস্থ প্রতিযোগিতা, নবীর জীবনালেখ্য নিয়ে উপস্থিত বক্তৃতা, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা। বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হয় ছোটদের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘পাখ-পাখলির আসর’। এতে প্রধান মেহমান ছিলেন বাশর গ্রুপ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল বশর আবু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক ও মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আবু সালেহ মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহ,। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ড. মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ মুঈন, কাজী মাওলানা শিহাব উদ্দিন।