
নিউজ ডেস্ক:
মহিলা ভাড়াটিয়ার কাছে বকেয়া ঘর ভাড়া চাইতে গিয়ে মামলা ও নানান হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ এনেছেন ঘরের মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানাধীন পশ্চিম কাপাসগোলা টুপিওয়ালাপাড়ায়। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কামরুন্নাহার পিতা আবুল খায়ের সাং চকরিয়া জেলা কক্সবাজার নামীয় জনৈক মহিলা পশ্চিম কাপাসগোলা টুপিওয়ালাপাড়ার রাশেদ বিন আবদুল্লাহ, খালেদ বিন মিঠু, তানভীর আহমদ টুটুল- এই তিন ভাইয়ের মালিকানাধীন চারতলা বাড়ির তিনতলায় মাসিক ১১০০০ টাকা ভাড়ায় দুই মেয়ে যথাক্রমে জান্নাতুল বকেয়া ও জান্নাতুল মাওয়া কুসুমকে সাথে নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তানভীর আহমদ টুটুলের অভিযোগ, ভাড়া জন্য ভাড়াটিয়া কামরুন্নাহারের কাছে গেলে সামনের মাসে দিবে, অমুক তারিখে দেবে বলে বলে দশ মাস বকেয়া করে ফেলে। যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। তানভীর আহমদ টুটুল জানান, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ঘরটি নির্মাণ করা হয় এবং প্রতি মাসে ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। এমতাবস্থায় বকেয়া পরিশোধ পূর্বক ভাড়াটিয়া কামরুন্নাহারকে ঘর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হলে সে আমার ভাই খালেদ বিন মিঠুর স্ত্রী দাবী করে এবং আমার ভাই মিঠুকে স্ট্যাম্পমুলে টাকা ঋণ প্রদান করেছে বলে দাবী করে। সে কোনভাবে বাড়ি না ছাড়ার এবং ঘর ভাড়া প্রদান না করার কথা জানিয়ে দেয়। এছাড়া কামরুন্নাহার কথায় কথায় সাংবাদিকের ভয় দেখান এবং নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও ভয় দেখান।
কামরুন্নাহারের দাবীর বিষয়ে খালেদ বিন মিঠুর মতামত জানতে চাইলে তিনি বিবাহের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে জানান, কামরুন্নাহারের সাথে আমার কোন বৈবাহিক সম্পর্ক নেই, বরং তার সাথে সুদি লেনদেন ছিল। মাসিক সুদের বিনিময়ে তার কাছ থেকে ৮ লাখ ঋণ নিয়ে ব্যবসার কথা জানিয়ে খালেদ বিন মিঠু বলেন, আমি তাকে মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো মাসে সুদ পরিশোধ করেছি। সময় মত ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় কামরুন্নাহার তার বিরুদ্ধে আট লাখ টাকার চেকের মামলা করেন বলে জানান খালেদ বিন মিঠু।
এমতাবস্থায় বাড়ির অন্যতম মালিক তানভীর আহমদ টুটুল অন্যন্য উপায় হয়ে স্থানীয় কাপাসগোলা মহল্লা কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বরাবর সালিসি বৈঠক আয়োজন করে বিষয়টির আপস-মীমাংসার আবেদন জানালে মহল্লা কমিটি উভয় পক্ষকে ১২/০৬/২০২৪ কার্যালয়ে আসার আহবান জানান। বৈঠকে খালেদ বিন মিঠু কর্তৃক ভাড়াটিয়া কামরুন্নাহারের কাছ থেকে ট্যাম্পের মাধ্যমে টাকা গ্রহনের বিষয়টি প্রমাণিত ও স্বীকৃত হলেও বিবাহের পক্ষে কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি কামরুন্নাহার। মহল্লা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জনাব আবুল খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক জনাব দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত সালিসি বৈঠকের সিদ্ধান্ত পত্রে বৈঠকে কামরুন্নাহারের উদ্যত আচরণ তুলে ধরে আবেদনকারী তানভীর আহমদ টুটুল গংকে আইনী আশ্রয় গ্রহনের পরামর্শ দেন। এদিকে কামরুন্নাহার কর্তৃক বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন দাবী ও কল্পকাহিনী সাজিয়ে সামাজিকভাবে নিজেদের এবং পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন তানভীর আহমদ টুটুল গং।