
ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া প্রতিনিধি :
গত ২২ অক্টোবর সোমবার দুপুরে পটিয়ার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের বদিউল আলমের কন্যার সাথে আনোয়ারার ওষখাইনের ইছহাক মিয়ার পুত্র শফিকুল আলম প্রকাশ সাহেদের বিয়ের দিন তারিখ ধার্য্য ছিল। এতে ৭ লাখ টাকার কাবিননামাও সম্পাদন হয়। এতে চুক্তি হয় কনে পক্ষ বর পক্ষকে ফর্নিসার ও ফ্রীজ এবং ৬ শত বর যাত্রী খাওয়াবে। গত রবিবার বিয়ের আগের দিন কনে পক্ষ বরের বাড়ীতে কয়েক রকমের ফার্নিসার পাঠায়। এতে তা বর পক্ষ তাদের পছন্দ মত না হওয়ায় ফেরত পাঠায় এবং দূর্ব্যবহার করে বলে কনের ভাই মৌলানা আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন। তিনি বলেন উভয় পক্ষের সম্মতিতে আমরা ফার্নিসার নিয়ে গেলে তারা আমাদের অপমান করে এবং তা ফেরত পাঠিয়ে দেয়। আর বিয়ের দিন বর যাত্রী আসে ১’শ জন। ৫’শ জনের টাকা নিয়ে নেয় বর পক্ষ। বিয়েটি দিনের আয়োজন হওয়ায় দিনে শতাধিক বরযাত্রী আসে আর বর আসে রাত ১০ টায়। এতে আমাদের অনেক খাবার নষ্ট হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠানে বাক বিতন্ডা হলে কনে পক্ষ বরকে মেয়ে তুলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে শোভনদন্ডীর পানি উন্নয়ন বোর্ডে এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শের আলী ও আনোয়ারার আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আহমদ সহ এক সমঝোতা বৈঠকে কনে পক্ষকে বিয়ের ক্ষতি পূরণ বাবদ ২ লক্ষ টাকা দিতে সম্মত হয়। তারা এর জামিনদার হিসেবে বরকে কনে পক্ষের কাছে এক রাতের জন্য রেখে যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বর শফিকুল আলম সাহেদ বলেন, বিয়ে ঠিক করে গ্রামের উকিল। আমি কিছু জানিনা। মুরব্বিরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি তা মানতে বাধ্য। তবে আমি বউ নিতে চাই। শোভনদন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান এহসানুল হক বলেন, যৌতুকের জন্য বিয়েটি ভেংগে গেছে। আমি দুপুরে বিয়ে বাড়ীতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বর নাকি পছন্দের ফার্নিসার না পাওয়ায় আসেনি বলে কনে পক্ষ আমাকে জানিয়েছিল। পরে ২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও কাজীর মাধ্যমে কাবিননামা ভাঙিয়ে বরকে তার পরিবার নিয়ে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।