দেশচিন্তা ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমানে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ চট্টগ্রাম নগরবাসী। বেশকিছু দিন ধরে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মশার প্রাদুর্ভাব অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। মশার কয়েল, নানা ব্র্যান্ডের ঔষধ ও ধূপ ধোঁয়া ব্যবহার করেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না নগরবাসী।
চট্টগ্রাম এখন মশার নগরীতে পরিণত হয়েছে। আর এই বিষয়ে সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। ডামি ভোটে ক্ষমতায় বসে নির্বিকার ভূমিকায় সরকার। জনগণ বাঁচল না মরল, তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ এমনিতেই দিশেহারা। এর মধ্যে ওয়াসার নিরাপদ পানি নেই। চারিদিকে হাহাকার ও দীর্ঘশ্বাস চলছে। তাই যাদের সামান্য মশা মারার মুরোদ নেই, তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ। ব্যর্থ সরকারকে বলব, এখনই ক্ষমতা ছেড়ে দিন। জোর করে ক্ষমতা দখলে রেখে জনগণকে আর শাস্তি দেবেন না।
তিনি বুধবার (২০ মার্চ) বিকালে চকবাজার কাপাসগোলা দেরাজ মিয়া লেইনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকাল নগরীর নালা নর্দমা ও ভবনের আশপাশের জায়গায় চসিকের কাউকে ওষুধ ছিটাতে দেখা যায় না। মশা নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যে পরিমাণ আর্থিক ব্যয় বরাদ্দের কথা বলছে, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। সন্ধ্যার পর থেকে বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা। নগরবাসী মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে বিকাল থেকেই বাচ্ছাদের মশারির ভেতর ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সেখানেই পড়ালেখা এবং খাওয়া দাওয়া করতে হচ্ছে। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মশাবাহিত রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ারও।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় বাজারি শোষণে জনগণ এখন দিশেহারা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি জনগণের ওপর হামলার সমতুল্য। এমনিতেই বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। এই নিপীড়ন মেনে নেওয়া যায় না। এই দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মন্জুর আলম মন্জুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলুর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, মো. মহসিন, রমজু মিয়া, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন জিসান, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. আনাস, ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক জসিম বাদশা, দপ্তর সম্পাদক মো. সেলিম, অঙ্গ সংগঠনের জাহেদুল হক জাকু, বাবুল, মো. এরশাদ, মো. রবিন, আবদুস সোহবান, বাপ্পী, মো. রাসেল, মো. শহীদ, কামাল উদ্দিন, মো. রাজু, আবদুল গফুর, আলী হোসেন প্রমূখ।