আজ : বৃহস্পতিবার ║ ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বৃহস্পতিবার ║ ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ║ ১৩ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম-১১ আসনে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট এলেন দেরিতে, ১৫ মিনিট বিলম্বে ভোটগ্রহণ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ভোটগ্রহণে বিলম্ব হয়েছে। এতে কয়েকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফের পোলিং এজেন্টদের পৌঁছতে দেরি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১৫ মিনিট পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যদিও প্রিজাইডিং অফিসাররা তা স্বীকার করেননি।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে চট্টগ্রাম-১১ আসনের বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মোট ৪টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকেই নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গড়ে অন্তত ১৫ মিনিট করে দেড়িতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪টি কেন্দ্রে।

তবে এসব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের দাবি, ভোটগ্রহণ শুরুর দিকে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা নির্ধারিত সময়ে না আসলেও পরবর্তীতে তারা এসেছেন এবং পোলিং এজেন্টরা দেরিতে আসার ফলে ভোটগ্রহণে কোনো প্রভাব পড়েনি।

 

ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ মিনিট পর কেন্দ্রে আসেন নৌকা প্রতীকের একজন পোলিং এজেন্ট। দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি সিভয়েসকে বলেন, ‘সকালে গাড়ি না পাওয়ায় একটু দেরি হল। এর ওপর এখন শীতকাল।

 

বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১০২ থেকে ১০৫ পর্যন্ত মোট ৪টি কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে সবকটিই পুরুষ ভোটকেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে ১৪ হাজার ৯১৯ জন।

১০৪ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. বদরুল ইসলাম সিভয়েসকে বলেন, প্রার্থীর এজেন্ট না আসায় ভোটগ্রহণ দেরিতে শুরু হয়নি। নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আমার কেন্দ্রে নৌকার কয়েকজন এজেন্ট দেরিতে আসলেও তারা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

১০৩ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. আল আমিন দেশচিন্তাকে বলেন, আমার এখানে ভোটগ্রহণ দেরিতে শুরু হয়নি। নৌকা এবং কেটলি প্রতীকের সমর্থকেরা এসেছেন। তবে বাকি প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট এসেছে কিনা তা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা জানবেন।

 

এ আসনে এবার প্রার্থী আওয়ামী লীগের এম এ লতিফ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের জিয়াউল হক সুমন (কেটলি), গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক (উদীয়মান সূর্য), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), এনপিপির নারায়ন রক্ষিত (আম), বিএসপির মো. মহি উদ্দিন (একতারা) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (চেয়ার)। তবে এসব প্রার্থীদের মধ্যে তিনবারের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ এবং ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনের মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৫২টি। আর এসব কেন্দ্রে ভোট কক্ষের সংখ্যা স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে মোট ১০৩২টি। এই আসনের মোট ভোটার ৫ লাখ ১ হাজার ৮৫২ জন। যাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৭৪ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৬ জন। এছাড়া এই আসনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা তৃতীয় লিঙ্গের দুইজনের।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ