নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম -১৫ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী অভিযোগ করে বলেছেন সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেনি প্রশাসন তাই তারা হামলা এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। শুক্রবার উপজেলার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর রাতের ঘটনায় শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নৌকার প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনায় প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নৌকার প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা নদভী। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক রিজিয়া রেজা চৌধুরী, নরুল আবছার চৌধুরী, এ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন, মৃদুল কান্তি দাশ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, আমি প্রশাসনকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেনি এবং অস্ত্রধারীদেরকে গ্রেপ্তারও করেনি। ফলে তারা এখন নির্বাচনে সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতো না। প্রশাসনকে বলবো ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করুন। না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।
মূলত ভোটারদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের নির্দেশে এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। যদিও স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. আ.ম.ম. মিনহাজুর রহমান অস্বীকার করেছেন।
হামলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা নদভীর শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহতরা হলেন চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী (৫০), সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান (৩৫), পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফেরদৌস রুবেল (৫৫), যুবলীগ নেতা কচির আহমদ কায়সার (৪৫), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন (৩৭), মো. মিনহাজ উদ্দীন (৩০), জিহানুর রহমান চৌধুরী (৩০), কায়সার হামিদ অভি (৩৫), রফিজ আহমদ (৫০) ও আরিফুল ইসলাম (২৬)সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে চরতির কাটাখালী এলাকায় গণসংযোগসহ প্রচারণা চলাকালীন কিছু দুর্বৃত্ত লাঠিসোটা নিয়ে এসে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
নৌকা প্রার্থীর অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) এম এ মোতালেবের নির্দেশে স্থানীয় মেম্বার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। যদিও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে সতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. মিনহাজুর রহমান বলেন, রিজিয়া রেজা ও চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর ওপর বালির মহাল দখলসহ বিভিন্ন কারণে স্থানীয় লোকজন অনেক আগে থেকেই ক্ষুব্ধ হওয়ায় তারা জনরোষের শিকার হয়েছেন। আমরা সন্ত্রাসীর রাজনীতি করিনা। শান্তিতে বিশ্বাস করি এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।