
দেশচিন্তা ডেস্ক : ইসি নির্বাচনের আগেই সভা-সমাবেশ বন্ধের চিঠি দিয়ে বাকশাল কায়েম করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা। (১৩ ডিসেম্বর) বুধবার বিকেলে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী অবস্থানে তারা এ অভিযোগ করেন।
সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচন বাতিল, সব নেতাদের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, যুবপার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, যুবনেতা মাসুদ জমাদ্দার রানা, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, যুবনেত্রী সুলতানা রাজিয়া, শাহীনুর আক্তার শীলা ও কেন্দ্রীয় সদস্য আমানুল্লাহ সরকার রাসেল।
মেজর অব. মিনার বলেন, আজ আওয়ামী লীগ তার দলীয় লোক এবং কিছু দালাল দিয়ে নির্বাচনকে একটি পাতানো পুতুল খেলায় পরিণত করেছেন। এই পুতুল খেলায় এদেশের জনগণ অংশ নেবে না।
অ্যাড. তাজুল ইসলাম বলেন, দলবাজ ইসি সরকারি দলের তাঁবেদারি করতে করতে লজ্জা-শরম হারিয়ে এখন সভা-সমাবেশ বন্ধের চিঠি দিয়েছে। মনে হচ্ছে তিনি জনরোষের ভয়ে ভীত, তার আর তর সইছে না তিনি নির্বাচন নামক প্রহসনের আগেই বাকশাল কায়েম করে ফেলতে চান।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে নির্বাচন নামের প্রহসনে কী হচ্ছে! এ নির্বাচন মূলত আ.লীগ ও তার কেনা কতিপয় দালালের মধ্যকার নির্বাচন। এ নির্বাচন নামক নাটকের জন্য রাষ্ট্রের বিপুল অর্থের অপচয় কেন? এই প্রশ্ন তুলে তিনি আ.লীগ বনাম দালালদের নির্বাচন বর্জন করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, পুলিশের কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে জননিরাপত্তা বিধান যে তাদের দায়িত্ব তারা সেটা ভুলে গেছে। মনে হয় যেন বিরোধীদল দমনই তাদের প্রধান কাজ, তারা সেটা নিয়ে ব্যস্ত। ‘বিরোধীদের নির্মূল করতে সরকার সর্বশক্তি নিয়োগ করছে’- অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য ও ডলারের দাম বাড়তে বাড়তে দেশের জনজীবন ও অর্থনীতি বিপন্ন, সেদিকে সরকারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা গদি রক্ষায় ব্যস্ত।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জাতি জানল যে আরব লীগ, ফিলিস্তিন, উগান্ডাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক আনবার পাঁয়তারা করছে এই অনির্বাচিত সরকার। যাদের নিজের স্বাধীন দেশ নেই, যাদের দেশে নির্বাচন হয় না যুগের পর যুগ ধরে, তারা আসবে আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে। আরব লীগের কোনও দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নেই, গণতন্ত্র নেই, তাদের দেশ থেকে পর্যবেক্ষক আসাটা হাস্যকর। কম্বোডিয়া, বার্মা, বেলারুশ, রাশিয়া আর চীন থেকে ভুয়া পর্যবেক্ষক আনার চেষ্টা জনগণের করের টাকার অপচয় মাত্র। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, কেফায়েত হোসেন তানভীর, রুনা হোসাইন, আমেনা বেগম, আফ্রিদ হাসান তমাল, মশিউর রহমান মিলু, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।