আজ : বুধবার ║ ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বুধবার ║ ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

চট্টগ্রামে ইটভাটা বন্ধ না করার আহ্বান মালিক সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ দূষণের অভিযোগ এনে আইনজীবী কর্তৃক রিট দায়েরের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১৪ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রামের সব ইটভাটার কাজ বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরা সংকটে পড়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ নিয়ে অর্থ বিনিয়োগ করায় দুশ্চিন্তায় আছেন ইটভাটার মালিকরা।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অধিকাংশই চট্টগ্রাম অঞ্চলে। বিশেষত কর্ণফুলী টানেল নির্মাণকাজ, রামগড়-হেঁয়াকো হয়ে হাটহাজারী-ফটিকছড়ি সড়ক, হাটহাজারী-রাঙামাটি ফোর লেইন সড়ক, মহেশখালী-মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ, মিরসরাই ইকোনমিক জোনসহ একাধিক মেগা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্তে দেশের চলমান উন্নয়ন ব্যাহত হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ২০১৬ সালের সংশোধিত খসড়া আইন মেনে বৈধ লাইসেন্স এর মাধ্যমে ইটভাটার ব্যবসা চলছে।

সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সর্বোচ্চ ১২০ ফুট উচ্চতার চিমনি, জিগজাগ ভাটা স্থাপন, জ্বালানি কাঠের পরিবর্তে কয়লার ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ইটভাটা থেকে বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় হচ্ছে সরকারের।
ইসমাইল হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে ৫০০ ইটভাটা রয়েছে। প্রতিটি ইটভাটায় দৈনিক ৭০০-৮০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের মজুরি কাজ শুরুর আগেই পরিশোধ করতে হয়।

পাশাপাশি এই ব্যবসার সঙ্গে ট্রাক-জিপ ও নসিমন গাড়ি চালক, বালু ব্যবসায়ী, রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী, হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী, রাজমিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি, ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবসা, পাইপ ফিটার ব্যবসা ও কাঠ ব্যবসাসহ সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায় চরম সংকট তৈরি হবে। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা ও মহানগরে চলমান সরকারি উন্নয়নকাজে প্রায় ৫০ কোটির বেশি ১ নম্বর ইট এবং গড়ে প্রতি উপজেলায় ২ কোটির বেশি ইট প্রয়োজন হয়। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে সরকারের সব মেগা প্রকল্পের কাজে জটিলতা সৃষ্টি হবে।

যেহেতু অদ্যাবধি ইটের বিকল্প কোনও পদ্ধতি সৃষ্টি হয়নি, সেহেতু ইটভাটা বন্ধ না করে চালু রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন চট্টগ্রাম জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে ইটভাটা খুলে দেওয়ার দাবিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ এবং ১ মার্চ চট্টগ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ