চাঁদপুরে যাত্রীবাহী এমভি আব-এ জমজম লঞ্চের দ্বিতীয় তলার স্টাফ কেবিন থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। গতকাল দুপুর ১২টায় জমজম লঞ্চের একটি কেবিন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তরুণীটির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার, চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসিম উদ্দিন ও চাঁদপুর নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সূত্র জানায়, কক্ষটি লঞ্চের গিজার মো. সুজন মোল্লা, মো. রাসেল ও মাসুম ব্যবহার করতেন। তবে লঞ্চটি দুপুর ১টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারেনি।
গিজার মো. সুজন মোল্লা বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে লঞ্চটি। সাড়ে ৬শ টাকার বিনিময়ে আমি একটি যুবক ও মেয়েকে কেবিনটি ভাড়া দেই। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় কেবিনটি পরিষ্কার করতে গেলে কক্ষটি তালা বদ্ধ পাই। টিকিট কাউন্টারে গিয়ে খবর নিলে কোনো চাবি দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়। পরে কেবিন খুললে তরুণীর লাশ দেখতে পাই আমরা।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার জানান, ফিতা গলায় পেঁচিয়ে তরুণীটিকে হত্যা করা হয়েছে। যেহেতু যাত্রী সেজে এক ব্যক্তি কক্ষটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাটি তিনিই করতে পারেন। তবে ধর্ষণের পর হত্যা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। লঞ্চে সিসি ক্যামেরা না থাকায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।