সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) পরিচয়ে ফেসবুকে যোগাযোগের সূত্র ধরে সিলেট থেকে এক স্কুলছাত্রীকে বরিশালের আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বরিশালের এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেছেন ভিকটিম। তিনি সিলেটের একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বরিশালের পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন, এএসপি পরিচয়দানকারী একজন প্রতারক। তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।
বুধবার আদালতে মামলার তারিখের দিন বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে পারেন। মামলার বাদী ও ভিকটিম জানান, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে শামসুল হক রাসেলের সঙ্গে তার পরিচয়। রাসেল নিজেকে পুলিশের এএসপি পরিচয় দেয়। এরই সূত্র ধরে প্রায়ই ফেসবুকে এবং মোবাইলে কথাবার্তা চলে তাদের। প্রায় আট মাস পর ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে সিলেট থেকে বিয়ের প্রলোভনে বরিশালে নিয়ে আসে ওই ব্যক্তি। এরপর বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার আবাসিক হোটেল শরীফে রেখে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এভাবে একাধিকবার বরিশালে যাতায়াতের পর ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি রাসেলকে জানালে সে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ অবস্থায় ভিকটিম রাসেলকে খুঁজে বের করতে গত ২৭ জানুয়ারি বরিশালের পুলিশ কমিশনারের কাছে যায় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে এ ঘটনায় গত ২৮ জানুয়ারি নগরীর এয়ারপোর্ট বন্দর থানায় মামলা রুজু হয়। পুলিশ ভিকটিমকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে সেফ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।