খালেদার প্যারোল নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক কাজ রয়েছে। এখন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বারবার আপনাদের প্রশ্নের জবাব দেবো সেই সময় আমাদের নেই।’
বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের সকল সংগঠনের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্যদের বিশেষ যৌথসভার শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের অনেক কর্মসূচি রয়েছে আমাদের অনেক কাজ রয়েছে। এখন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বারবার আপনাদের প্রশ্নের জবাব দেবো সেই সময় আমাদের নেই। এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এই প্রশ্ন দয়া করে আর করবেন না।’
খালেদা জিয়ার মামলাটি রাজনৈতিক নয় এমনটা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আদালত তার মুক্তির বিষয় ঠিক করবে। এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়, এটা করাপশানের মামলা। মামলার যা হবে সেটাই হবে আদালতের সিদ্ধান্তে।’
এ সময় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে কারচুপির যে অভিযোগ বিএনপি করছে তা নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘বিরোধী দল প্রচার করছে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। কিন্তু ইভিএমে কারচুপি বা জালিয়াতির কোনো সুযোগ ছিল না। যদি এরকম সুযোগ থাকত তাহলে নির্বাচনে পার্সেন্ট বেশি বা অস্থিতিশীলতা হতো। যদি কোন প্রকার কারচুপি ও জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হতো তাহলে এই নির্বাচনের অবস্থা ভিন্নতর হতে পারত।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মনে যে সংশয়, সন্দেহ সৃষ্টি করা হয়েছে সেটা এখন অনেকে বুঝতে পারছেন। আর সিটি নির্বাচনে যে সমস্যাটা ছিল উপস্থিতি কমের জন্য, পরিবহন সংকট, তিন দিনের মতো ছুটি, অনেকের ছেলেমেয়েরা দেশের বাড়িতে এসএসসি পরীক্ষা থাকায় সেই সময় অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষার আগের সময়টা গ্রামের বাড়িতে কাটিয়েছেন। সব কিছুর কারণ আছে তারপরও নির্বাচন নিয়ে সারা দুনিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছিল। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক মহলে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তারা পারেনি।’
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনসহ সামনে যে কয়েকটি নির্বাচন আছে সেগুলোর নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘সামনে আমাদের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ঢাকা মহানগরেও একটা নির্বাচন আছে। ঢাকা-১০ আসন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য সর্বাত্মক কাজে চেষ্টা থাকবে। এখানে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে আমাদের সাংগঠনিক দূর্বলতা অনেক। এ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। সাংগঠনিক দুর্বলতা ও ভোটারদের উপস্থিতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গ্যাপ আমাদেরকে পূরণ করতে হবে।’
মুজিববর্ষ উদযাপনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে কেউ বাড়াবাড়ি করবেন না। মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে অতি উৎসাহী হয়ে এমন কোনো কাজ করবেন না যেটা জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।