সিটি নির্বাচনে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর যুবসমাজ ও জনগণ অনাস্থা প্রকাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়ররা জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত নয়। তাদের মোটেই সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে নির্বাচিত বলা যাবে না।’
মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
১৭-১৮ শতাংশ ভোটে নির্বাচিত মেয়রদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত বলা যাবে কিনা, জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, ‘মোটেই না। তারা জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত নয়।’
লিখিত বক্তব্যে কামাল হোসেন বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর যুবসমাজ ও জনগণ অনাস্থা প্রকাশ করেছে। দুই সিটির নির্বাচিত মেয়ররা মাত্র ৫ থেকে ৭ শতাংশ মানুষের রায় পেয়েছেন। বাকি ফলাফল ইভিএমের জাল ভোট।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল আরও বলেন, ‘এই দেশের জনগণ সব ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং পরিবর্তন এনেছে। এর কোনও ব্যতিক্রম এখন হবে না। জনগণের মধ্যে একটা ঐক্যমত গড়ে ওঠেছে। তাদের এগিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকার যেভাবে দেশ চালাতে চাচ্ছে সেটা আর পারবে না।’
ঐক্যফ্রন্ট সবসময় জনগণের কাঁধে সবকিছু চাপিয়ে দেওয়ার রাজনীতি করছে কিনা, জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা তো জনগণের ওপর ভর করেই রাজনীতি করি। শক্তি তো জনগণের, সেটাকে উৎসাহিত করার জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল করি। আমাদের দেশের ৭০ বছরের ইতিহাস দেখেন। তারা সবসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবর্তন এনেছে। সেই ৬ দফা, ১১ দফা এবং স্বাধীনতার কথা যদি মনে রাখেন সব সময় জনগণ এগিয়ে এসেছে। স্বাধীনতার পর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও জনগণ এগিয়ে এসেছে। এ দেশের মানুষ সচেতন, তারা কখনও স্বৈরতন্ত্রকে গ্রহণ করেনি। এখনও করবে না।’
সরকার সংবিধানের পরিপন্থী কাজ করে নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করেছে দাবি করে কামাল হোসেন বলেন, ‘আজ দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আমাদের কথা বলেই যাবো। মানুষ একদিন দাঁড়িয়ে বলবে, এটা একেবারে অসহ্য হয়ে গেছে। এর পরিবর্তন আনতে হবে।’