আজ : সোমবার ║ ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : সোমবার ║ ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৯ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি

রংপুরের বিপক্ষে চট্টগ্রাম লড়াইও করতে পারলো না

দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম রয়্যালসের লড়াইটুকুও করা হলো না। না ব্যাটে, না বলে। রংপুর রাইডার্স তাদের গুটিয়ে দিয়েছিল মাত্র ১০২ রানে, এরপর ৫ ওভার হাতে রেখে লক্ষ্য পেরিয়েছে। তাদের জয় ৭ উইকেটে।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রংপুরের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন লিটন দাস ও দাওভিদ মালান। এই জুটিতেই জয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় তারা। মালান প্রথমে চালু রান তুললেও পরে গতি কমান। ঠিক বিপরীত কথা প্রযোজ্য লিটনের ক্ষেত্রে, শুরুতে ধীরে খেললেও পরে গতি বাড়ান তিনি। এই জুটি থেকে নবম ওভারে আসে ২৪ রান।

লিটন দাস আউট হন দলকে ১২ রান দূরে রেখে, নিজে হাফসেঞ্চুরি থেকে দূরে থাকেন ৩ রানের জন্য। ৩১ বলের ইনিংসে ২টি ছয় ও ৪টি চার হাঁকান তিনি। লিটনের উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, একই ওভারে তিন নম্বরে নামা তাওহীদ হৃদয়কেও শিকার করেন তিনি। লিটন হাফসেঞ্চুরি মিস করলেও মালান করেননি। ৪৮ বলে ৫১ রান করে মাহমুদুল হাসান জয়ের ওভারে মির্জা তাহিরকে ক্যাচ দেন। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও খুশদিল শাহ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

রংপুরের পেস তোপে চট্টগ্রাম ‍গুটিয়ে যায় মাত্র ১০২ রানে। নাইম শেখের ২০ বলে ৩৯ রানের ইনিংস শেষে আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। চট্টগ্রামকে গুটিয়ে দেওয়ার মূল কাজটা করেন রংপুরের পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফ। ১৭ রান খরচায় তিনি নেন ৫ উইকেট।

প্রথম ওভারে অ্যাডাম রসিংটনের উইকেট হারালেও চট্টগ্রাম রয়্যালসের শুরুটা খারাপ হয়নি। তৃতীয় ওভারে নাইম শেখ একাই তুলেন ২১ রান, এক ছক্কা ও ২টি চার মারেন এ ওপেনার। চতুর্থ ওভারে নাইম আরও ২টি চার মারেন। এরপর চট্টগ্রামের উইকেটের মিছিল শুরু হয়, রানের গতিও যায় কমে। ২০ বলে ৩৯ রান করা নাইম মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আলিস আল ইসলাম নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট। ২ বল খেলেও জয় রানের খাতা খুলতে পারেননি। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি মাহফিজুল ইসলাম, মাসুদ গুরবাজ ও শেখ মেহেদী। মাহফিজুল, গুরবাজ ও মেহেদী; এই তিনজনের উইকেটই নেন ফাহিম আশরাফ।

চট্টগ্রামের আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক মির্জা তাহির বেগ অনেকক্ষণ টিকে ছিলেন। কিন্তু আজ আর তেমন কিছু করতে পারলেন না তিনি। ২৪ বলে ২০ রান করে মোস্তাফিজুরের শিকার হন। তানভীর ইসলাম হন সুফিয়ান মুকিমের শিকার। ৮ নম্বরে নামা আবু হায়দার রনিও অনেকক্ষণ টিকে ছিলেন। কিন্তু ২১ বলে মাত্র ১৩ রান করতে সক্ষম হন। তাকেও শিকারে পরিণত করেন ফাহিম। শরিফুল ইসলামের উইকেট নিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। ৩ ওভারে ২ উইকেট নিতে ফিজ খরচ করেন ১৯ রান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ