দেশচিন্তা নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের প্যারেন্টস কেয়ার স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালকের সাথে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গত ২২ মার্চ শুক্রবার বিকেলে প্যারেন্টস কেয়ার স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুক পেজে ঘটনার একটি ভিডিও আপলোড হয়েছে। বিষয়টি জানতে স্কুলের পরিচালক আবুল ফজলের সাথে মুঠোফোনে যোগোযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সোলাইমান আলম শেঠ বোয়ালখালীতে স্কুলের একটি জায়গা দখলে নিতে দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ রাজি না হওয়ায় তিনি স্কুলের অধ্যক্ষ ও কমিটির ওপর চওড়া হন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বানোয়াট অভিযোগ করেন তিনি’। পরে তিনি মোবাইল ফোনটি স্কুলের অধ্যক্ষ জহরলাল ভট্টাচার্যকে ধরিয়ে দেন প্রতিবেদকের সাথে। এসময় অধ্যক্ষ প্রতিবেদককে বলেন, ‘তিনি জায়গা দখল নিতে স্কুলে এসে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালান এবং স্কুলে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে লুটপাট করেন’।
তবে ঘটনার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে সোলাইমান আলম শেঠ বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে আমার জায়গার অভাব নেই। আমি আমার জায়গার হিসাবও ঠিকমত জানি না। আমার জায়গা সরকার নিচ্ছে, এখন সেনাবাহিনীরও প্রয়োজন হচ্ছে। তাছাড়া স্কুলের যে বোয়ালখালীর জায়গার কথা বলা হচ্ছে, সে জায়গা কোথায় রয়েছে আমি তাও জানি না। আমি কেন জায়গা দখল করতে যাবো। আর জায়গা দিয়ে আমি কি করবো’।
ভিডিও এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভালভাবেই চলছে। তবে কয়েক বছর থেকে আব্দুল করিম কয়েকজনকে স্কুলের সাথে সম্পৃক্ত করে স্কুলটি লুটপাট করতে চাইছে। তাছাড়া ওই লোকের বিরুদ্ধে স্কুলের অভিবাবক-শিক্ষার্থীদেরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি কিছুদিন আগে ভাল-ভাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মিথ্যে মামলা দিয়ে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন স্কুলটি নিজ দায়িত্বে নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। যার বিষয়ে আমি দুদক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছি। ওই দিনও স্কুলে এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি আমার ওপর তেড়ে আসেন। আমি তাকে থামাতে গিয়েছি’।