আজ : বৃহস্পতিবার ║ ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : বৃহস্পতিবার ║ ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জামায়াতসহ ৮ ইসলামি দলের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা

দেশচিন্তা ডেস্ক: পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে অগ্রসর হওয়া জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামি দলের পদযাত্রা পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে সেখান ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় আন্দোলনকারীরা নভেম্বরে গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নেতাকর্মীরা মৎস্য ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান করছেন।

সেখানে পদযাত্রায় অংশ নেওয়া জামায়াত নেতাকর্মীরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করছিলেন। হঠাৎ পুলিশ তাদের বাধা দিয়েছে। মৎস্য ভবন থেকে তাদের সামনের দিকে এগোতে দেওয়া হচ্ছে না। স্মারকলিপি দিতে আট দলের শীর্ষ প্রতিনিধিরা যমুনায় যেতে পারেন।

জামায়াতসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ইসলামি দলগুলো জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি জানিয়ে আসছে। একই সঙ্গে সংসদে পিআর পদ্ধতি ও নির্বাচন ঘিরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার কথাও বলছেন তারা।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর শাপলা চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন জামায়াত নেতাকর্মীরা। সেখানে অন্য ইসলামি দলগুলোও মিছিল নিয়ে জড়ো হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা গণভোট, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তথা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির বিষয়ে সরকারকে তাগিদ দেন।

এর আগে গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা লিখিতভাবে স্মারকলিপি দেবো। আমাদের দাবি আগের মতোই একেবারে সুস্পষ্ট, গণভোট যেন অবশ্যই নির্বাচনের আগে হয় এবং পৃথক দিনে হয়।

দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম–নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

ইসলামি আটটি দলের মধ্যে রয়েছে—জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ