আজ : শুক্রবার ║ ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শুক্রবার ║ ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শেষ মুহূর্তের গোলে স্তব্ধ বাংলাদেশ, হংকংয়ের নাটকীয় জয়

দেশচিন্তা ডেস্ক: প্রথমার্ধে হামজা চৌধুরীর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর তিন গোল হজম। এরপর আশা দেখালেন শেখ মোরছালিন। শোমিত সোমের যোগ করা সময়ের গোলে জাগল এক পয়েন্টের আশা। কিন্তু হলো না শেষ রক্ষা। ম্যাচের একেবারে অন্তিম সময়ে গোল খেয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ।

জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৩-৪ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারে মূল পর্বে খেলার আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল হাভিয়ের কাবরেরার দলের।

শোমিত সোম, জামাল ভূঁইয়া, ফাহামিদুল ইসলামদের বেঞ্চে রেখে ম্যাচের একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ কাবরেরা। এরপরও ম্যাচে বল দখল ও প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ানোয় এড়িয়ে ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু দুর্বল রক্ষণের কারণে হয়নি শেষ রক্ষা।

ম্যাচের ১৩তম মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে কোনাকুনি ফ্রি কিক শট সরাসরি জালে নিয়েছিলেন হামজা। বল হংকংয়ের এক ডিফেন্ডারের মাথা ছুঁয়ে চোখের পলকে জালে জড়ায়। উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটো স্টেডিয়াম।

বাংলাদেশের হয়ে হামজার দ্বিতীয় গোল এটি।

৪২তম মিনিটে বাংলাদেশের জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে পায়নি গোল হংকং। সেই হতাশা ঘুঁচে যায় খানিক পরেই। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে কর্নার পায় হংকং। ডি বক্সে জটলার মধ্যে বল বিপদমুক্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। একের পর এক হেডে বল ঘুরেছে ডি বক্সেই। গোলরক্ষক বেরিয়ে এসে বল নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন জায়গায়। শেষ পর্যন্ত কাছ থেকে টোকায় সমতা টানেন এভারটন কামারগো।

হাস্যকর গোল হজম করে ক্ষোভ উগরে দেন হামজা। বল কুড়িয়ে স্বজোরে মেরে পাঠিয়ে দেন মাঝমাঠে। এরপরই বাজে বিরতির বাঁশি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৫০তম মিনিটে অফসাইড জাল ছিড়ে হংকংকে এগিয়ে নেন রাফায়েল মারকিস।

৭ মিনিট পর একসঙ্গে তিনটি বদল আনেন বাংলাদেশ কোচ। মাঠে নামেন শমিত সোম, জামাল ভূঁইয়া ও ফাহামিদুল ইসলাম। তুলে নেওয়া হয় দুই সোহেল রানা ও ফয়সাল আহমেদকে।

৭৪তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি হজম করে বাংলাদেশ। এই গোলেও রক্ষণের দূর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থের ক্রস পেয়ে টোকায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রাফায়েল।

৮৩তম মিনিটে ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। এতে হংকংয়ের গোলরক্ষকের দায়ও কম নয়। উচু হয়ে আসা বল গ্রিপ করতে পারেননি তিনি। বল হাত হাতের ফাঁক গলে পড়ে যায়। কাছেই ছিলেন শেখ মোরছালিন। বাম পায়ের টোকায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

এই গোল যেন নতুন উদ্দোম দেয় দলকে। চাপ ধরে রাখে তারা। সফলতাও পেয়ে যায় ম্যাচের যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে। কর্নার কিকে হেডে কাছ থেকে সমতা টচানেন শোমিত।

সমতায় ফেরার উৎসবে গ্যালারি যখন উত্তাল তখনই হঠাৎ সবকিছু স্তব্ধ করেন দেন রাফায়েল। ডি বক্সে জটলার মধ্যে বল পেয়ে হংকংকে উৎসবের উপলক্ষ্য এনে দেন তিনি। হতাশায় নুইয়ে পড়ে পুরো বাংলাদেশ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ