
দেশচিন্তা ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মানব পাচার প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বিশেষ অভিযানে পাচারকারী চক্রের পাঁচজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে (১০ সেপ্টেম্বর) সোমবার গভীর রাতে ২ বিজিবি অধিনায়কের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মানব পাচারের বড় ধরনের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। আটককৃতরা হলেন—সৈয়দ আলম, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রিদুয়ান হোসেন, মো. নুরুল আফসার এবং মো. আব্দুল হাকিম। তাদের সবার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণ লম্বরি এলাকায়।
বিজিবি জানায়, নাফ নদী ও তৎসংলগ্ন সীমান্তে মানব পাচার প্রতিরোধে ২ বিজিবি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ চক্রগুলো মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক ও মানুষ পাচার এবং বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার হয়ে মালয়েশিয়া পর্যন্ত মানব পাচারের মতো অপরাধে জড়িত। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব চক্রের কাঠামো, সদস্য ও কার্যক্রম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য সদস্যদের ধরতে পরদিন (বৃহস্পতিবার) ১১ সেপ্টেম্বর দিনভর সাঁড়াশি অভিযান চালালেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে মানব পাচারকারী চক্রের ৪৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তবে ২১ জন আসামি এখনও পলাতক। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন জানিয়েছে, পাচারকারী চক্রের মূল হোতা ও বাকি সদস্যদের ধরতে আরও অভিযান চালানো হবে। এদিকে, গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে প্রচলিত আইনে মামলা দায়েরের পর টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন—সাইফুল, মোস্তাফা প্রকাশ গোরাইয়া, নুর আলম ও সামসু। তারা সবাই টেকনাফের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। বিজিবি জানিয়েছে, মানবতা ও দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তে মানব পাচার ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘মানব পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সবসময় সক্রিয় থাকবে।’