
দেশচিন্তা ডেস্ক: খাগড়াছড়িতে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডু্বে গেছে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকা। জেলা শহরের নিচের বাজার, গরুবাজার, মেহেদীবাগ, উত্তর গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়া পাড়া, মধুবাজার রাজবাড়ি, খবংপুড়িয়া, গোলাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে চলাচলের রাস্তা ও ঘরবাড়ি ডুবে পানিবন্দি রয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও চেঙ্গী নদীতে পানি বাড়াতে শহরের বিভিন্ন খালে পানি আটকে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া পানছড়ি ও দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে মৎস্য খামার, আমন ধান ও সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
মেহেদীবাগ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিতে বন্যা হওয়ার কথা নয়। এ কারণে আমাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। সকালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরে বন্যার পানি ঢুকে যায়। এতে অনেক কিছুই নষ্ট হয় গেছে।’
খাগড়াছড়িতে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডু্বে গেছে নিচু এলাকা। তাই সন্তানদের নিয়ে উঁচু এলাকায় যাচ্ছেন বানভাসীরা।
দীঘিনালা পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের বেলুন মেকার সুবোধী চাকমা বলেন, ‘শনিবার রাতে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’
খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, ‘আমরা বন্যায় আক্রান্তদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যেহেতু রোদ উঠেছে আর ঢলের পানির কারণে পানি এসেছে আশাকরি বন্যার পানি দ্রুত কমে যাবে।’
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়া মাত্রই আমরা আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দিয়েছি। বন্যায় আক্রান্তরা আশ্রয় কেন্দ্রে আসলে তাদের জন্য পানি, খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’