
দেশচিন্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যায় (১ সেপ্টেম্বর) দেখতে যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। এ সময় চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম (বার), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চবি সিন্ডিকেট সদস্য এস এম ফজলুল হক, চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, চবি ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট জনাব এ.জি. এম নিয়াজ উদ্দিন, চবি তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক ড . মো. শহীদুল হক, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন, চবি সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, পার্ক ভিউ হসপিটালের এমডি ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপাচার্য চট্টগ্রাম পার্ক ভিউ হসপিটাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেন। উপাচার্য আহত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য হসপিটালের চিকিৎসকদের অনুরোধ জানান।
উপাচার্য বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তিনি বলেন, আমি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যবৃন্দ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং পার্ক ভিউ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিলে এখানে উপস্থিত হয়েছি আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে এবং তাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাতে।
তিনি আরো বলেন, আমি আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার মান নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের অনুরোধ করেছি যেন সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে দ্রুত তাদের সুস্থ করে তোলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার প্রতিটি ধাপে পাশে থাকব এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করব। আমরা আশা করি, খুব দ্রুত আমাদের শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। একই সঙ্গে আমি সকলকে আহ্বান জানাই, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে এবং আমাদের ক্যাম্পাসের শান্তি ও সৌহার্দ্য অক্ষুণ্ণ থাকে।