
এস এম জাকারিয়া, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় যেকোনো ধরণের উদ্ভুত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তার জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে। এভাবেই হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত মাসিক সাধারণ সভা চলাকালীন সময়ে অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ শনিবার বাদে আছর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই পৌরসভাস্থ থানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
মীরসরাই উপজেলা জামায়াতে ইসলামী শাখা ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে উক্ত বিক্ষোভটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বনফুল সুইটসের সামনে গিয়ে সভা করে। এ সময় উক্ত সভায় বক্তব্য প্রদানকালে বক্তারা উক্ত হামলায় দায়ী সন্ত্রাসী কামরুল হাসানের অতিসত্বর গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এসময় উক্ত বিক্ষোভ শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মীরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নুরুল কবীর, জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা নুরুল হুদা হামিদী, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মীরসরাই পৌরসভা জামায়াতের আমির মাওলানা শিহাব উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি সাজিদ চৌধুরী প্রমুখ৷
উল্লেখ্য যে, গতকাল ২৯নভেম্বর, ২০২৪ শুক্রবার শেষ বিকেলে মীরসরাই পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের এস রহমান স্কুলে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত মাসিক সাধারণ সভা চলাকালীন সময়ে এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। মীরসরাই উপজেলা ও পৌরসভা জামায়াত কর্তৃক উক্ত হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির বিরুদ্ধে। কারণ হিসাবে বলা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে কেনো বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কাউকে দাওয়াত দেওয়া হলোনা এবং তাদের অনুমতি নেয়া হলো না। উক্ত হামলায় স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং নূরুল আলম নামের এক কর্মী গুরুতরো আহত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেকে পাঠানো হয়।
হামলায় আহতরা হলেন- দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার মীরসরাই প্রতিনিধি আশরাফ উদ্দিন (৩৯), উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আনোয়ারুল্লাহ আলম মামুন (৫৫) মো. নুরুল আলম (৪০), শহিদুল ইসলাম (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৫), কফিল উদ্দিন (২০), নুর উদ্দিন (৩৩), কাজী সামির (২০), তানজিম (১৮), সাব্বির শাহাদাৎ (২০) ও রাহাত হাসান হাসিব (১৮)।
এবিষয়ে মীরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম বলেন – মীরসরাই জামায়াতের নিজস্ব ঘরানার কর্মী সমাবেশে হামলা এটা নিতান্তই নেক্কারজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা মীরসরাই বিএনপি এর দায়ভার নেবো না।
মীরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নূরুল কবীর বলেন – আমাদের সাংগঠনিক পদ্ধতির অংশ হিসাবে আয়োজিত উক্ত ওয়ার্ড কর্মী সমাবেশে হামলা করাটা অবশ্যই একটা সন্ত্রাসী হামলা। মীরসরাইয়ের মাটিতে এধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জামায়াতে ইসলামী মেনে নেবে না।
মীরসরাই থানার ওসি আবদুল ক্বাদের বলেন – জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড কর্মী সমাবেশে হামলা জনিত ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় এজহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য কামরুলের ফোন নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া যায়।