আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শনিবার ║ ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির ত্যাগী কর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি

ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ঘোষিত নবগঠিত কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পদ বঞ্চিতরা। তার সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। গতকাল রবিবার বিকেলে পটিয়া প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাপার দক্ষিণ জেলার সাবেক শ্রম ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান পটিয়া পৌরসভা জাপা সাধারন সম্পাদক মোস্তাক আহমদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলী আকবর চেয়ারম্যান, সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী, মাহবুর রহমান, রূপেশ সরকার, দিদারুল আলম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী, আবদুস ছত্তার সওদাগর, নুরুল ইসলাম, এমরান মিয়া, আনিস, মামুন প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি ও মহাসচিব মো: মুজিবুল হক চুন্নু এমপি স্বাক্ষরিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন দেন। কিন্তু সদ্য ঘোষিত কমিটিতে জাতীয় পার্টি’র প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ও জাপা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জাপার সভাপতি প্রায়ত শামসুল আলম মাস্টারে অনুসারী দু-সময়ের দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্যাগী ও তৃনমূল নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণ অজান্তে পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে ভুল বুঝাইয়া দিয়ে একজন বিতর্কিত লোককে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক করে ১২৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যে, কমিটিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার অসংখ্য নেতা কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পার্টি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বর্তমান কো-চেয়ারম্যান-১ উপস্থিত থেকে সর্বশেষ যে সম্মেলন করে ছিলেন, ঐ সম্মেলনে সবাই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ও ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বর্তমান চেয়ারম্যানের অনুমোদনকৃত আহ্বায়ক কমিটিতে অনেকেই যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য দায়িত্ব পালন করেছন।

সদ্য অনুমোদন পাওয়া আহ্বায়ক কমিটিতে আমাদেরকে প্রয়াত কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক সামসুল আলম মাষ্টার এর অনুসারী বলে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তারা আরো উল্লেখ করেন, ১৯৯১ সালে জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ মুক্তির আন্দোলন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে মিছিল, মিটিংনে অংশ গ্রহন করে আসছেন তারা। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি ত্রুটিপূর্ণ মনগড়া
এবং দলের স্বার্থের পরিপন্থী ত্যাগি নেতাদের দল থেকে বের করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র লিপ্ত
রয়েছে। বর্তমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক নুরুচ্ছফা সরকার একজন পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের বাসিন্দা ইউনুচ ও কামাল হত্যা মামলা, জাল টাকা বানানোর সরঞ্জাম সহ একাধিকবার গ্রেফতার হন। বর্তমানে মানুষকে চাকুরী দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। বিভিন্ন মানুষ থেকে জায়গা দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ ও দলীয় পদ ব্যবহার নগরীতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এই কমিটিতে
মৃত মানুষকে রাখা হয়েছে, যেমন কমিটির ৩২নং সদস্য রমজান মুন্সি ও ৯৫নং সদস্য
মোহাম্মদ আলী বর্তমানে মৃত। একজন লোককে একাধিক জায়গায় সদস্য করা হয়েছে, যেমন জসিম উদ্দিন সিকদার, দুলা মিয়া মেম্বার, রুবেল খান, হাজী নুরুল ইসলাম, কাজী মজিবুর রহমান, কমিটিতে নিজে আহ্বায়ক আবার তাহার ছেলে ৮১নং সদস্য ফরিদ উদ্দিন সরকার, আবার অফিসের পিয়ন আবদুল হাকিম ৬০ নং সদস্য,আবার কর্ণফূলী আওয়ামীলীগের ৪৩নং সাইফু উদ্দিন মানিক মেম্বারকে সদস্য করার অভিযোগ করেন। বর্তমান জাপা আহবায়ক নুরুচ্ছফা সরকার ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে ২৫২ ভোট পেয়ে দলকে কলঙ্কিত করেছেন। এই ধরনের অযোগ্য নেতৃত্ব, অযোগ্য, অজনপ্রিয় লোককে দক্ষিণ জেলার জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক করায় তৃনমূল, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এই কমিটি থেকে নুরুচ্ছফা সরকারকে আহ্বায়কের পদ হইতে বাদ দিয়ে নতুন করে ত্যাগী ও তৃনমূল নেতাকে আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি করার জোর দাবী জানায় নেতাকর্মীরা।

বাদ পড়া কমিটি’র নেতাকর্মীরা হলেন, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বর্তমান চেয়ারম্যানের অনুমোদনকৃত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাজী ইসমাইল আজাদ, আবু বক্কর ছিদ্দিকী, সাতকানিয়া উপজেলা সভাপতি আবদুস ছাত্তার, আনোয়ারা উপজেলা সভাপতি আলী আকবর চেয়ারম্যান, দক্ষিণ জেলার জাতীয় পার্টির শ্রম ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক-পটিয়া পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, সাবেক জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী, সাবেক দক্ষিণ জেলার ছাত্র সমাজের সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান, বোয়ালখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম মুরাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক- ডাঃ খোরশেদুল আলম, ফরিদ আহাম্মদ চৌধুরী, আবদুস সত্তার সওদাগর, মোঃ নুর ছফা, বাবু মিলন কান্তি মেম্বার, রাজিব দাশ রাজু, আলহাজ্ব আবু তাহের সওদাগর, দিলীপ ঘোষ দিপু মেম্বার, রনজিত ভট্টাচার্য্য কালু, মাহবুবুর রহমান, এন.এম. জসিম উদ্দীন, মোঃ এয়াছিন খান, নেজাম সওদাগর, দিদারুল আলম, আমিন ফারুকী, নুরুল আবছার, মোঃ ইদ্রিস, জালাল উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন মেম্বার, সোলায়মান চৌধুরী, জাফর আহমদ, ছৈয়দুল আরেফীন পান্থ, শফিকুল ইসলাম, রফিক আহমদ, ছালেক আহমদ, মোঃ দুলাল, মোঃ বাদশা মিয়া, নজির আহমদ, সাইফুল ইসলাম, আবদুল রাজ্জাক, নুর নবী চাদ, মোঃ আবছার, এরশাদ আহমদ, লিয়াকত আলী, মোঃ নাছির আহমদ, আহাম্মদ শরীফ, ডাঃ আবছার, মোঃ সেলিম, মোঃ আকবর, নুরুল ইসলাম মেম্বার, রফিক আহমদ সওদাগর, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ইয়াছিন, রূপেশ সরকার, নুর আহমদ কন্ট্রাক্টর, আবু ওয়াহেদ,মোঃ আলী, রবি চৌধুরী, আশরাফ আলী, মোঃ শফি, মোঃ আবছার, মোঃ পারভেজ, রাশেদুল হক খোকন, আবুল মনসুর, পুতুল বড়ুয়া, জয়নাল আবেদীন, ফিরোজ আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম. ইয়াকুব আলী চৌধুরী, বাবু যীষু দে, মোহাম্মদ আলী মেম্বার, নুরু ছফা সওদাগর, মজিবুল হক, মুছা ড্রাইভার, জালাল উদ্দিন, মোরশেদুল আলম, আবদুল খালেক প্রমুখ দলের ত্যাগী নেতাদের শামসুল আলম মাষ্টারের অনুসারী হওয়ায় কমিটি থেকে ইচ্ছাকৃত বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ