
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে মুক্তিকামী জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ঐ ভাষণ ছিল এক মহামন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের অর্ধ শতাব্দী উপলক্ষে মুক্তধ্বনি আবৃত্তি সংসদ আয়োজিত “এবারের সংগ্রাম “শীর্ষক অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে পাঠ, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পাঠ,স্বরচিত কবিতা পাঠ ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এবং কথামালার আয়োজন করা হয়। ১২ মার্চ, শনিবার,বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে আবৃত্তিশিল্পী সাংবাদিক আশিক আরেফিন ও সোমা মুৎসুদ্দির যৌথ সঞ্চালনায় এতে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও লেখক ড.মাসুম চৌধুরী,সাবেক নারী কাউন্সিলর রেহানা বেগম রানু,সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি সাইফ চৌধুরী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি চট্টগ্রামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক।
বক্তারা আরো বলেন,বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল বাঙালির নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন।চট্টগ্রামে আবৃত্তিশিল্পী সংগঠনগুলোর মধ্যে এই চেতনাবোধে মুক্তধ্বনির এ আয়োজন ইতিহাস হয়ে রইল।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য কবিরা স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। প্রতিনিধিত্বশীল আবৃত্তি সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পীসহ মুক্তধ্বনি আবৃত্তি সংসদের সদস্যদের দীপ্ত উচ্চারণে অনুষ্ঠান মালায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী জীবনী থেকে পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে কবিতা আবৃত্তি করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।