আজ : শুক্রবার ║ ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ : শুক্রবার ║ ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ║ ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে  পোষক কর্মীকে ধর্ষণ

দেশচিন্তা ডেস্ক:

গার্মেন্টসে যাওয়া আসার সময় পরিচয়। অতপর প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার প্রমির (ছদ্মনাম) সাথে ঠিক এমনটিই ঘটেছে। টানা প্রায় দুই মাস ধরে প্রমিকে কৌশলে নিয়ে গিয়ে বাসের হেলপার ও ড্রাইবার মিলে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় প্রমি (২০) নিজে বাদী হয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর নগরীর চান্দগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩) ধারায় একটি মামলা করেন। মামলায় বাসের হেলপার মো. ফারহাদ (২১) ও ড্রাইবার মো. দিদারকে (৪০) আসামি করা হয়। এদের মধ্যে হেলপার ফারহাদ ভোলা জেলার লালমোহন থানা ও ড্রাইবার মো. দিদার নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। দুজনই নগরীর চান্দগাঁও থানার ওসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরির জাহাঙ্গীর কলোনীতে ভাড়া বাসায় থাকেন।

এদিকে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মো. ফারহাদ ও মো. দিদারকে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। ২৫ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল চান্দগাঁও থানার ওসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরির পৃথক দুটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

থানায় করা মামলার এজহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, তিনি (ভুক্তভোগী) ইপিজেড থানার ফ্রি-পোর্ট ইউনিবো গার্মেন্টসে চাকরি করেন। বাসে করেই তিনি চাকরি স্থলে যাওয়া আসা করেন। এই যাওয়া আসাকালে গত ৩ থেকে ৪ মাস আগে বাসের হেলপার মো. ফারহাদের সাথে তার পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তাকে বাসের হেলপার বিয়ের কথা বলে গত ২৫ অক্টোবর ফুসলিয়ে তাকে ওসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকার বাসায় নিয়ে গিয়ে ড্রাইবার ও হেলপার দুইজন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। গত ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ চালিয়ে যান তারা। এজহারে ভুক্তভোগী আরও উল্লেখ করেন, এক পর্যায়ে গত ২৪ ডিসেম্বর ঘটনাস্থল থেকে তিনি কৌশলে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন।

ভুক্তভোগীর করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বলেন, ‘২০ বছর বয়সী উক্ত নারী পোশাককর্মীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী গ্রেপ্তার দুই আসামি ভোক্তভোগীকে জোরপূর্বক আটকে রেখে দীর্ঘদিন পালাক্রমে সংঘবদ্ধ করেন।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আজকের সর্বশেষ সংবাদ