

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক আয়েশা জেবুন্নেছা ঘটনার তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পিবিআই কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উখিয়া থানার ওসি মরজিনা আকতার, পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল ইসলাম, এএসআই মো. শামীম ও কনস্টেবল মো. সুমন। মামলার বাদী কলেজছাত্রীর সঙ্গে কনস্টেবল মো. সুমনের এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের দাবি তোলায় থানায় বেঁধে ওই ছাত্রীকে নির্মম নির্যাতন করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কনস্টেবল সুমনের বাড়ি কুমিল্লার হোমনার দইরিচর গ্রামে। বাবার নাম হাসান আলী। বর্তমানে তিনি রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আছেন। মামলায় তাঁকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। উখিয়ার মরিচ্যা চেকপোস্টে দায়িত্বের সময় সুমনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ৭ জুলাই রাতে উখিয়া থানায় নির্মম পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন ওই ছাত্রী। মামলায় ওসি মরজিনা আকতারকে ২ নম্বর, পরিদর্শক নুরুল ইসলামকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক বছর ধরে সুমনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক করেন সুমন। এরপর ওই ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। অনেক চেষ্টার পর ৭ জুলাই সকালে সুমনের সঙ্গে কথা হয় ওই ছাত্রীর। সুমনের কথামতো উখিয়ার মরিচ্যায় যান তিনি। সেখানে বিয়ের ব্যাপারে কথা হয় দুজনের। সিদ্ধান্ত নেন মরিচ্যা বাজারে গিয়ে কাজি ডেকে বিয়ে করবেন দুজন। রাত ১০টার দিকে তাঁরা মরিচ্যা বাজারে যান। একপর্যায়ে বাজারে রাস্তার পাশে ছাত্রীকে দাঁড় করিয়ে রেখে উধাও হন পুলিশ কনস্টেবল।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, কনস্টেবলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা শুনে প্রথমে ওসি মরজিনা আকতার তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় অপর পুরুষ পুলিশ সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন।
এ প্রসঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও থানার ওসি মরজিনা আকতারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।