
দেশচিন্তা ডেস্ক: প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৫), বাদে আছর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইসি মোড়স্থ কেন্দ্রীয় মসজিদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, প্রকৌশল অনুষদের সহযোগী ডিন প্রফেসর ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবাল, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের ডিরেক্টর জনাব সাদাত জামান খান, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ জসীম উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব শেখ মুহম্মদ ইব্রাহিম, অ্যাকাউন্টিং ডিসিপ্লিনের কো-অর্ডিনেটর ড. আহসান উদ্দিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
দোয়া মাহফিলে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় ও গৌরবময় অধ্যায়। স্বাধীনতা-পরবর্তী রাষ্ট্রীয় রাজনীতির উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে তিনি যে দৃঢ়তা, ধৈর্য ও নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তা তাঁকে ইতিহাসে এক অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিন-তিনবার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শুধু রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বই পালন করেননি, বরং বহুদলীয় গণতন্ত্রের বিকাশ, জাতীয় সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা এবং রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তাঁর ব্যক্তিসত্তার আরেকটি উজ্জ্বল দিক ছিল তাঁর মাতৃত্ব। একজন মমতাময়ী মা হিসেবে তাঁর মানবিক রূপ বহু মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে দাগ কেটে গেছে। তাঁর মৃত্যুতে একটি মহাকাব্যের মহাঅধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটল। বাংলাদেশ হারাল এক রাজনৈতিক অভিভাবককে। এই ক্ষতি কেবল ব্যক্তিগত বা দলীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়; এই ক্ষতি দেশ ও জাতির ইতিহাস ও রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার এক অপূরণীয় শূন্যতা।
উপাচার্য বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. মঈনুদ্দিন।










